ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে ঢাবি রেখে চমেকে ভর্তি হন আকিব

মাহাদি আকিব
মাহাদি আকিব  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাহাদি আকিবের জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি চোখ খুলে তাকিয়েছেন। হাত-পাও নাড়াতে পারছেন। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তার লাইফ সাপোর্ট খুলে রাখা হয়েছে।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র মাহাদি আকিব। জিলা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর পরীক্ষা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে। দুটোতেই উত্তীর্ণ হন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কিং বামিশা গ্রামে।

আকিবের মামা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, আকিবরা দুই ভাই। একজন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। আকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজে চান্স পায়। তার বাবা কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদার আকিবের সিদ্ধান্তের ওপর সব ছেড়ে দেন।

পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১ম হয়েছিলেন ডাক্তার কামরু‌ল

‘‘আকিব পরিবারকে জানায়, সে বড় ডাক্তার হবে, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না। পরিবার তার দাবি মেনে নিয়ে চমেকে ভর্তি করায়।’’

এদিকে, গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দফায় চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে চমেকের ৬১তম ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) এবং ৬২তম ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০) আহত হন। এ ঘটনার জেরে পরে আকিব হোসেনকে (৬২তম ব্যাচ) একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় বিপক্ষ গ্রুপের লোকজন।

দেলোয়ার হোসেন জানান, আকিব সারাদিন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মেডিকেলে ভালো করতে হলে আবাসিক হলে থাকতে হবে, তাই হলে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়। হলের বাইরে থেকে মেডিকেলে পড়ানো ব্যয়সাপেক্ষ। তার বাবার স্বল্প আয়ে বাইরে রেখে পড়াশোনা করানোও অসম্ভব।

তিনি আরও জানান, আকিব পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে নিরীহ প্রকৃতির। তার কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও দুটি গ্রুপের রাজনৈতিক কোন্দলে বলি হয়েছে সে। আকিবের মা নার্গিস আক্তার গৃহিণী।

গত এক সপ্তাহ পূর্বে হলে ওঠে সে। তিনি জানান, হল খোলার আগে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে আকিব। যাওয়ার আগে মাকে জানায়, আমার যেতে ভালো লাগছে না মা। ওর বাবা বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়। হলে গিয়ে গোলযোগ পরিস্থিতিতে পড়ে সে, কিন্তু ভয়ে সে তার বাবাকেও জানায়নি।

আকিবের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, তার অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। অপারেশনের পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গতকাল লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। আজ সকালে আমি তাকে দেখে এসেছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence