চমেক শিক্ষার্থী আকিবকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ

চমেক শিক্ষার্থীকে আকিবকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ
চমেক শিক্ষার্থীকে আকিবকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ  © সংগৃহীত

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ঠাঁই হয় আইসিইউতে। এর পর থেকে নিথর পড়ে আছেন আকিব।

নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শোয়া মাহাদির মাথায় ব্যান্ডেজে মোড়ানো। ধবধবে সাদা ব্যান্ডেজের ওপর লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ নিচে একটা বিপজ্জনক চিহ্নও এঁকে দেওয়া হয়েছে। চোখও সাদা ব্যান্ডেজে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তাঁর।

এদিকে, আকিবকে মারধরের পর আজ রবিবার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, একটা এপ্রোন পড়া ছেলে দৌড়াচ্ছে, দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ পড়ে গেলো। সামলে উঠে দৌড় দেওয়ার আগেই পেছন থেকে আরেকদল এপ্রোন পড়া ছেলে (তারই ব্যাচমেট) এসে ধরে ফেললো। পরে তারা তাকে মারধর শুরু করে।

পড়ুন: ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’

চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মাহাদিকে ভর্তি করা হয়। তার মাথা থেঁতলানো ছিল, হাড় ভেঙে গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই অবস্থায় অপারেশন করে মাথার কিছু অংশ শরীরের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আমরা সফল অপারেশন করেছি। আশা করি, মাহাদি সুস্থ হয়ে উঠবে।

আকিবের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানায়। ছেলের এই দুঃসংবাদের কথা শুনে কুমিল্লা থেকে চমেক হাসপাতালে ছুটে আসেন বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার। কুমিল্লা জেলা স্কুলের এই শিক্ষক বলেন, আকিব খুব মেধাবী ছাত্র, আমার স্বপ্ন ছেলেকে ডাক্তার বানাব। কিন্তু ডাক্তার হতে এসে ছেলে এখন আইসিইউতে। তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

আকিব গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে এসএসসি পাশ করেছে কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে। আর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এরপর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়।

পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে আকিব, সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া চাইলেন বাবা

তার বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার বলেন, আল্লাহর মেহেরবানি ছাড়া আর কিছু বলার নেই। আমি দেশবাসীর কাছে আকিবের জন্য দোয়া চাই। যেন আমার ছেলে আকিব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে স্বাভাবিকভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে। যা ঘটে গেছে, তা তো আর ফিরে আসবে না। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি চাই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence