‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’

মাহাদি জে আকিব
মাহাদি জে আকিব  © সংগৃহীত

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ঠাঁই হয় আইসিইউতে। এর পর থেকে নিথর পড়ে আছেন আকিব।

নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শোয়া মাহাদির মাথায় ব্যান্ডেজে মোড়ানো। ধবধবে সাদা ব্যান্ডেজের ওপর লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ নিচে একটা বিপজ্জনক চিহ্নও এঁকে দেওয়া হয়েছে। চোখও সাদা ব্যান্ডেজে ঢেকে দেওয়া হয়েছে তাঁর। তাঁর মাথায় এমন লেখার রহস্য জানা গেল চিকিৎসকদের কাছে।

অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল কাদের বলেন, আঘাত খুব বেশি ছিল। তার মস্তিষ্কে এবং মাথার হাড়ে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে আপাতত তার পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হলে সেটা আবার আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে।

পড়ুন: চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

এর আগে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে শনিবার (৩০ অক্টোবর) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মাহাদি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেইন গেটের পাশে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মাহাদির ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের এক পক্ষ।

এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তাকে। হামলায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন মাহাদি। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে সহপাঠীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মাহাদিকে ভর্তি করা হয়। তার মাথা থেঁতলানো ছিল, হাড় ভেঙে গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই অবস্থায় অপারেশন করে মাথার কিছু অংশ শরীরের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আমরা সফল অপারেশন করেছি। আশা করি, মাহাদি সুস্থ হয়ে উঠবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence