মানিলন্ডারিং মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এপিএসের সম্পত্তি ক্রোক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ PM , আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ PM
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের (এমপি) এপিএস এএইচ এম ফুয়াদের ৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৮৬ টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি।
ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একটি ফ্ল্যাটসহ ৩৮ দশমিক ৯৩৩ (আটত্রিশ দশমিক নয় তিন তিন) শতাংশ জমি। বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ফরিদপুর এই আদেশ প্রদান করেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের (এমপি) মন্ত্রীত্বকালীন সময়ে মন্ত্রীর এপিএস ছিলেন এএইচ এম ফুয়াদ। সে সময় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল এর নেতৃত্বে ফরিদপুর শহরের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ‘হেলমেট বাহিনী’ নামের একটি বাহিনী তৈরি করে তিনি। সেই বাহিনীর সাহায্যে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর যেমন এলজিইডি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী, শিক্ষা অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, বিএডিসি, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস, রোডস এন্ড হাইওয়েসহ অন্যান্য দপ্তরগুলোর টেন্ডারসমূহ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব টেন্ডার হতে বিভিন্ন হারে কমিশন গ্রহণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে। টেন্ডারবাজি ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেও অর্থ উপার্জনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: পা দিয়ে চেপে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওসি প্রদীপ
সিআইডি আরও বলছে, নিজের নামে ছাড়াও ফুয়াদ ১ম স্ত্রী ফারজানা ফোয়াদ, ২য় স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বাবলী, ২য় পক্ষের শাশুড়ী নাদিরা বেগমসহ নামে-বেনামে বহু জায়গা জমি ক্রয় করেছেন যেগুলোর দখলদারিত্ব ন্যস্ত আছে ভাই ও ভাগিনার মতো আত্মীয়দের হাতে। এমনকি বেনামে বিলাসবহুল বাস কিনে পরিবহনখাতেও বিনিয়োগের তথ্যও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, অনুসন্ধান শেষে সিআইডি বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ সংশোধনী/২০১৫ এর ৪(২) মামলা (মামলা নং- ১৩) রুজু করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।