প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সম্পত্তি দখলে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
- কুমিল্লা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১১ AM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মেষতলা গ্রামে শ্রবণ প্রতিবন্ধী মাহবুবুল হকের সম্পত্তি দখলে নিতে সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ভাই স্বপনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহবুবুল হক বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে নতুন বাড়িতে এবং দুপুরে পুরনো বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। হামলাকারীরা ঘরের নির্মাণসামগ্রী ভাঙচুর করে, গাছ কেটে ফেলে এবং বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে থাকে। বাদীকে না পেয়ে তারা স্ত্রী সুমা আক্তার ও মাকে ধাক্কা দিয়ে আহত করে। এসময় লাঠিসোঁটা ও ছুরি নিয়ে এলাকায় শোডাউনও করে তারা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মামুন, শাহীন ও আবুল কালামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। বাদীর স্ত্রী সুমা আক্তারের দাবি, মূলহোতা ছিলেন বড় ভাই স্বপন। তবে মামলার এজাহারে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মামুন সাবেক মেয়র মিজানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, শাহীন বাদীর ফুফা এবং বাকিরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে মামুন, শাহীন, আবুল কালাম, মো. কাশেম, সৈকতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সাক্ষী আবদুল হক বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর আগেও আসামিরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে যারা প্রার্থী ছিলেন তারা সবাই আমাদের উপদেষ্টা: সাদিক কায়েম
মাহবুবুল হক অভিযোগ করেন, তার ভাসুর কালামের সম্পৃক্ততার কারণে মামলায় তার নাম দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর আমার ভাসুর তার স্ত্রীর নামে সব সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। জমিতে ঘর তুলতে গেলে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’
তবে অভিযুক্ত শাহীন দাবি করেন, তিনি বাদীর এক চাচাতো বোনের কাছ থেকে জমি কিনেছেন এবং কাগজপত্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিজের কেনা জমিতে যদি কেউ জোর করে ঘর তুলতে আসে, আমি বসে থাকব কেন?’
আরেক আসামি মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সেখানে অন্য কাজে গিয়েছিলাম। হয়রানি করার জন্য মামলায় আমার নাম জড়ানো হয়েছে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মামলা নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’