গর্ভকালীন মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতায় যেসব বিষয় মানা জরুরি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৬ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ PM
একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি গর্ভবতী মা চান তাঁর অনাগত সন্তানটি সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখুক। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে মায়ের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মা ও অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভধারণের প্রতিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা গর্ভাবস্থার সুস্থতা ও সন্তানের বৃষ্টির উপর প্রভাব ফেলে।
গর্ভকালীন সময়ে কোনো মা যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছু করেন তাহলে অনাগত শিশুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভকালীন ঝুঁকিগুলো রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
গর্ভবতী মায়েদের যত্নে গাইনী বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিয়ে থাকেন:
পুষ্টিকর খাবার
গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যতালিকা অন্যদের তুলনায় ভিন্ন হওয়া উচিৎ। কেননা গর্ভধারণের পর পুষ্টির চাহিদা বাড়ে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, ফোলিক অ্যাসিড ইত্যাদি জাতীয় খাবার গ্রহণ প্রয়োজন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ, রক্তের শর্করা, শিশুর ওজন এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে যে কোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা করা যায়।
মানসিক সুস্থতা
গর্ভবতী মায়ের মানসিক অবস্থা স্বাভাবিকের ন্যায় থাকে না। এজন্য পরিবারের মানুষের উচিত সময় দেওয়া ও যথাযথ বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।
শারীরিক পরিশ্রম কমানো
গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও ভারী কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা যোগব্যায়াম করলে স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
গর্ভাবস্থায় ধূমপান, মদ্যপান এবং অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া কোমল পানীয় পরিহার করাও জরুরি। এগুলো শিশুর বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
গর্ভবতী মায়ের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা ইসলাম বীথি জানান, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে বিশেষ করে ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা জরুরি, যা শিশুর জন্মগত ত্রুটি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া, পর্যাপ্ত পুষ্টি, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং শারীরিক বিশ্রাম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, ভালো খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ধূমপান বা মদ্যপান থেকে বিরত থাকা অন্তত জরুরি।