ঢাকায় ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন উপধরণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৩২ AM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৩২ AM
দেশে করোনার ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএ.৫ দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকার মানুষ। এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটিটি বলেছে, গত ১৪ মে থেকে ২৪ জুন এই ছয় সপ্তাহে ৫২টি কোভিড শনাক্ত করেছে তারা। এর মধ্যে ৫১টিই ছিল ওমিক্রন ধরনের উপধরন বিএন.৫। অপর দিকে একটি মাত্র বিএ.২’র উপধরন পাওয়া গেছে। আইসিডিডিআর,বি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ তথ্য জানিয়েছে। আইসিডিডিআর,বি বলেছে, কোভিড-২ ভাইরাসটি ধীরে ধীরে একটির পর একটি উপধরনের মাধ্যমে দুর্বল হয়ে আসছে। সর্বশেষ ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছিল ওমিক্রন, যা প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বি বলেছে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিএন.৫ উপধরনের শনাক্ত ৪০ জনের মধ্যে ৩৮ জনই কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পেয়েছে। এদের মধ্যে আবার ১৬ জন বুস্টার ডোজও পেয়েছে, ২১ জন দুই ডোজ টিকা পেয়েছে এবং একজন মাত্র এক ডোজ টিকা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছাতে আপত্তি নেই ইউজিসির
গত ১৯ মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫ শনাক্ত হয়। এরপর গত প্রায় ছয় সপ্তাহে উপধরনটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটিয়েছে ঢাকায়। এ সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে ৫২টি কভিড-১৯ পজিটিভের মধ্যে ৫১টি বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট এবং একটি বিএ.২ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।
আইসিডিডিআর,বি আরও জানায়, ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। এটি সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। দেশে গত ১৪ মে থেকে ২৪ জুন ছয় সপ্তাহ বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল। সক্রিয় এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট অন্য যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সক্রিয়। যদিও বিএ.৫ দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থতার তীব্রতা কম।
গবেষকরা তবু সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন যে, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং সবাই যেন প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা নিয়ে নেন।
ওমিক্রনের উপধরন বিএন.৫’র প্রথম সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মে। তবে বাংলাদেশে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের ঈদের বন্ধের পর কয়েক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঈদের বন্ধের মধ্যে অনেকেই বাড়ি যাবে। গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি যেতে বাধ্য হবে। আবার ঈদের নামাজের পর কোরবানি করা এবং ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাবে। মোট কথা ঈদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যথেচ্ছ মেলামেশার কারণে ঈদের মধ্যে এখনকার চেয়ে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ঈদের মধ্যে মেলামেশা হবেই কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে করলে সংক্রমণ তেমন বাড়বে না। নিজের স্বার্থেই প্রত্যেকেরই উচিত এখন থেকেই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।