শাবিপ্রবি ছাত্রছাত্রীদের আসামি করে পুলিশের মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৫৯ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১৫ PM
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে মারধরের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান মামলাটি করেন। এতে ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়।
জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
তবে এই মামলায় কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, সেদিনের ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র-গুলি গেছে, পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন এগুলা জাস্টিফিকেশনের জন্য এই মামলা করা হয়েছে। এখানে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। কাউকে হয়রানি করার জন্য মামলাটি করা হয়নি। এজাহারেও কারও নাম, ঘটনার বর্ণনা কিছুই নেই তাই উত্তেজনার কোন কারণ নেই। এ মামলায় শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়ও করা হচ্ছে না।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। গত রোববার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের কর্তব্যকাজে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।
এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় লেখা হয়েছে, ২০০ থেকে ৩০০ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। কর্তব্যরত পুলিশের সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটানি করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করাসহ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৩১টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেণেড নিক্ষেপ করে।
১৩ জানুয়ারি রাতে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। পরে তাদের আন্দোলনে যুক্ত হয় ছাত্ররাও। আন্দোলনে ছাত্রলীগের ও পুলিশের হামলার পর শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্ররা। নিন্দা জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।