পাবিপ্রবির মাতৃভাষা হলে নিম্নমানের খাবার, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
- পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪৬ AM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৯ AM
খাবারের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) মাতৃভাষা হলের শিক্ষার্থীরা। খাবারের পরিমাণ কম, মান খারাপ ও অপরিষ্কার রান্না সব মিলিয়ে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন তিনবেলা মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। সকালবেলা ১৫ টাকা, দুপুরে ৩৫ টাকা এবং রাতে ২০ টাকা মোট ৭০ টাকা দিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি ৫ টাকা করে বাড়ানো হলেও খাবারের মান আগের মতোই থেকে গেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। কেউ যদি কেবল একবেলা খাবারও খান, তবুও তাকে ৫ টাকা বাড়তি দিতে হয়।
খাদ্যের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। দিনে তিনবেলায় দেওয়া খাবারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। বেশিরভাগ সময় তরকারি কাঁচা থেকে যায়, ডাল থাকে অত্যন্ত পাতলা যেন শুধুই পানি। এসব খেয়ে অনেক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। ভাতের মান অত্যন্ত খারাপ। অনেক সময় যে ভাত দেয়া হয় তা গন্ধযুক্ত অথবা শক্ত। তরকারি ঠিকমতো ধোয়া হয় না। তরকারিতে প্রায়ই সবজির কাঁচা অংশ কিংবা ময়লা পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেরা এসব খাবার খান না। বরং তারা নিজেদের জন্য আলাদা করে ভালো মানের খাবার রান্না করে খান। আবার মাঝে মধ্যে রাতের খাবার যদি বেঁচে যায়, তা গরম করে পরদিন সকালে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন তিন বেলা টাকা দিয়ে খাবার নিই, কিন্তু ঠিকমতো খাওয়ার মতো কিছুই পাই না। তরকারি কাঁচা, ডাল পাতলা, ভাতে গন্ধ এসব খেয়ে শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো শুনতে হয়, ভালো না লাগলে খেয়ো না। ডাইনিংয়ের যারা দায়িত্বে আছেন, তারা নিজেদের জন্য আলাদা রান্না করেন। তারা জানেন এই খাবার খাওয়া যায় না। রাতে যা বেঁচে যায়, গরম করে সকালে আমাদের খাওয়ানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে মাতৃভাষা হলের প্রভোস্ট ড. জিন্নাত রেহেনা বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, ডাইনিংয়ের দায়িত্ব তোমরাই নাও, সাথে বাজার করার জন্য দুইজন লোক নিও। রান্নার লোক তো আছেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ দায়িত্ব নিতে চায় না।