চাঁদা না দেওয়ায় 'আওয়ামী লীগের দোসর' আখ্যা দিয়ে ব্যবসায়ীর দোকানে তালা

ব্যবসায়ীর দোকানে তালা
ব্যবসায়ীর দোকানে তালা  © সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে এক ব্যবসায়ীর দোকানে তালা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী পৌর বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির নেতা শাহিন গাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার কাছে অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম তৌহিদুল ইসলাম (৫৮)। তিনি পটুয়াখালী শহরের কলাতলা হাউজিং স্টেট এলাকার বাসিন্দা। তার বাসার পাশে জমিতে সম্প্রতি একটি দোকান নির্মাণ করেছেন তিনি।

তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হেপাটাইটিস-বি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ২০ ডিসেম্বর থেকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তার মোবাইলে কল করেন বিএনপি নেতা শাহিন গাজী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও ঢাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনায় অংশ নিতে যাতায়াত ব্যয় বাবদ তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ  করে ফোন কেটে দেন শাহিন গাজী। পরে শুক্রবার তাকে আওয়ামী লীগ দোসর আখ্যা দিয়ে দোকানে তালা দেওয়া হয়।

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। তবু এর আগেও আওয়ামী লীগের দোসর বলে হুমকি দিয়েছেন ওই নেতা।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শাহিন গাজী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগপন্থীদের বাসায় আশ্রয় দেন তৌহিদুল। এছাড়াও আওয়ামী নেতাদের বৈঠকের স্থান দেন ও আর্থিক সহায়তা দেন তৌহিদুল। এজন্য তার দোকানে তালা দেওয়া হয়েছে। তবে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) আমি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। অনেকের সঙ্গে পরিচয় নেই। তবে অন্যায়ভাবে কারও দোকানে তালা দেওয়া আইনসম্মত নয়, এধরণের  অপরাধ করে আমাকে জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। আমি কিছুই জানি না। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  আইনজীবী মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’ 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!