প্রেস উইং
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ PM
রাজবাড়ীর পাংশার কলিমহরে চাঁদাবাজি করার সময় গণপিটুনিতে আলোচিত সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় দুটি অস্ত্রসহ তার সহযোগী সেলিম নামে আরেক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এই ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক হামলা নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা।’
এতে আরো বলা হয়, নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা এবং চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
‘এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যে কোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ—এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কোনো যে কোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।