ছাত্রদলের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত: ফার্মগেট এলাকায় বিক্ষোভ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ AM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ AM
তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘর্ষে আহত হয়ে শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে ফার্মগেট এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্নের আশঙ্কায় কলেজের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, তেজগাঁও কলেজের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কলেজের সামনে, ফার্মগেটমুখী সড়ক এবং আশপাশের গলিতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সাকিব হত্যার দাবি করে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভরত এক শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার এতদিন পরও একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে আসামিদের দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং তাঁর কাছে দাবি জানানো হবে, যেন তিনি নাম প্রকাশ করে মামলা করেন। এই দাবি মানা না হলে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে মেডিকেলে চান্স পেলেন ৪৪ শিক্ষার্থী
এর আগে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদক সেবন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আহত তিনজন হলেন সাকিবুল হাসান রানা (বিজ্ঞান বিভাগ, সেশন ২০২৪–২৫), হৃদয় আহমেদ (মানবিক বিভাগ, সেশন ২০২৪–২৫) এবং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাত (মানবিক বিভাগ, সেশন ২০২৫–২৬)। অভিযোগ রয়েছে, জান্নাত ছাত্রদলের প্রভাবশালী একটি গ্রুপের সহায়তায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে অবস্থান করতেন।
হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তরুণ–সেলিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য মোমেন পালোয়ান আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি তরুণ গ্রুপের প্রভাব ব্যবহার করে ক্যাম্পাস ও হলে আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং তাকে মাদক সেবন ও বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।