গল টেস্টের নাটাই বাংলাদেশের হাতে, জয়ের আশা নাঈমের
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:২২ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ PM
গল টেস্টে একসময় মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কার লিড নেওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু চতুর্থ দিনের দৃশ্যপট বদলে দেয় বাংলাদেশের স্পিনার নাঈম হাসান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর তার ঘূর্ণিতে একরকম ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৫ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ফলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ১০ রানে পিছিয়ে থাকে স্বাগতিক দল। ৫ উইকেট নিয়ে টেস্টে নিজের চতুর্থবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন নাঈম, যা বিদেশের মাটিতে তার প্রথমবার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে লিড দাঁড়িয়েছে ১৮৭ রানে। শেষ দিনের উইকেট বিবেচনায় ৩০০-র মতো লিড দাঁড় করাতে পারলে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে সফরকারীরা।
শান্ত ৫৬ ও মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। এর আগে সাদমান ইসলাম করেছেন ৭৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়—ফিরেছেন ৪ রানে। মুমিনুল থিতু হয়েও দিয়েছেন উইকেট, রান ১৪।
শেষ চার উইকেটের মধ্যে তিনটিই তুলে নিয়ে ম্যাচে নাটকীয় মোড় এনে দিয়েছেন নাঈম হাসান। সংবাদ সম্মেলনে নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে নাঈম বলেন, “আমি ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছি। সিম পজিশন আর পেস ভ্যারিয়েশন নিয়ে কাজ করেছি। প্রতিটি ব্যাটারের জন্য আলাদা লাইন-লেংথ পরিকল্পনা ছিল।”
প্রথমবার বিদেশে টেস্ট খেলতে নেমেই ৫ উইকেটের কীর্তি গড়া নাঈম আরও বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো লাগছে। আল্লাহ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন এবং আমি তা কাজে লাগাতে পেরেছি। উইকেট ব্যাটিংবান্ধব, তাই আমরা চেষ্টা করেছি টাইট বোলিং করতে। ব্যাটার চাপে ভুল করলে যেন উইকেট আসে।”
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে গলের উইকেট বেশ ধূলিময় ও কঠিন হয়ে উঠেছে ব্যাটারদের জন্য। পঞ্চম দিন আরও টার্ন ও অসমান বাউন্স হতে পারে, যা স্পিনারদের পক্ষে যাবে। নাঈম বলছেন, “আমাদের এখন জেতার সুযোগ আছে। ভালো একটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারলে আমরা চাপে ফেলতে পারব। পঞ্চম দিনের উইকেটে অনেক কিছু হতে পারে।”
সবমিলিয়ে, গল টেস্ট এখন রোমাঞ্চের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। বাংলাদেশ দলের জন্য চ্যালেঞ্জ—শেষ দিনে ধৈর্য্য ধরে ব্যাট করে লঙ্কানদের সামনে একটি কঠিন লক্ষ্য দাঁড় করানো। তারপর নাঈম-তাইজুলদের ঘূর্ণিতেই গড়া হোক জয়গাথা।