আবার স্কুলে ফিরছে সানজিদা, পাশে দাঁড়াল 'ইগনাইট মিরসরাই'
- সাখাওয়াত সাকিব, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০১:৪৩ AM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ০৪:২৬ PM
অর্থের অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া মিরসরাইয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালালো সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে শিক্ষাজীবন থেমে গিয়েছিল সানজিদার। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তার পাশে দাঁড়িয়েছে এই সংগঠন।
সানজিদা মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সামাজিক সংগঠনটির উদ্যোগে তার ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষা ফি ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে আবারও বিদ্যালয়ে ফিরছে সে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন, ইগনাইট মিরসরাই’র প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরশেদ আহমেদ এবং সদস্য আজিমুল হাসানসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১০৫ পাউন্ড কেক কাটাসহ যত আয়োজন ঢাবির
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, “সংবাদটি চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই সানজিদার পাশে দাঁড়ানোর। আমরা তার পরিবারের হাতে ভর্তি ফি, বেতন ও অন্যান্য খরচের অর্থ তুলে দিয়েছি। চলতি বছরের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, খাতা ও শিক্ষা উপকরণও সরবরাহ করেছি। আমাদের এই সহযোগিতা নিয়মিত থাকবে।”
‘ইগনাইট মিরসরাই’র প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান বলেন, “আমরা মিরসরাইয়ে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছি। এই সময়ে এসে শুধুমাত্র টাকার অভাবে কোনো শিক্ষার্থী যেন লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়ে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শুধু সানজিদা নয়, মিরসরাইয়ে আর কেউ অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে না পারলে, তার দায়িত্ব নেবে ইগনাইট মিরসরাই।”
জানা গেছে, সানজিদার বাবা লিভার ক্যান্সারে মারা যান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। দশম শ্রেণিতে পড়া একমাত্র ভাই স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করে সংসার চালায়। সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মাঝেই নতুন করে আবার লেখাপড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সানজিদা।
একটা সময় পড়ালেখা থেমে যাওয়ার দুঃখ ছিল চোখেমুখে। এখন সে বলে, ‘আমি আবার স্কুলে যাব। আমার স্বপ্ন আমি শেষ করব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’