দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থী পাওয়া গেল পাঁচজন, এক কক্ষে পাঠদান 

কাকড়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কাকড়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাকড়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট দীর্ঘদিনেও কাটেনি। ফলে এক শ্রেণিকক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচজন শিক্ষার্থীর ক্লাস নিতে দেখা গেছে এক শিক্ষককে। অথচ কাগজে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৮ জন। পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন তিনজন৷

উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাকড়ারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান। বিদ্যালয়ের সামনে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পুরোনো ভবনও এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাইরে সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা। মনোরম পরিবেশ থাকলেও শিক্ষকদের গড় হাজিরায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক থাকলেও উপস্থিত থাকেন তিনজন। আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি অফিসিয়াল কাজের কথা বলে অনুপস্থিত থাকেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সহকারী শিক্ষক নাজমুল হক চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসেই পঞ্চম শ্রেণির  শিক্ষার্থী এনে ক্লাস নিচ্ছিলেন। দুই ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল পাঁচজন। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির দু’জন, পঞ্চম শ্রেণির তিনজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।  

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকদের গড় হাজিরার প্রভাব শিক্ষার্থী উপস্থিতে পড়ছে। দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসে তালা ঝুঁলিয়ে দুই সহকারী শিক্ষককে অফিস রুমে বসে থাকতে দেখা দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ঢাকা আলিয়ায় ৩০ বছর ধরে ৪৪ পদে নেই শিক্ষক, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। 

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা শামছুন্নাহার বলেন, উপবৃত্তি বন্ধ, মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি। এ কারণে শিক্ষার্থী কিছুটা কম। তারা চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থী বাড়ানের জন্য।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখা সম্ভব হয়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ