গুচ্ছের ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের সভা আগামী সপ্তাহে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৯:০৮ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৯:০৮ PM
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে আগামী সপ্তাহে সভা ডেকেছে ভর্তি কমিটি। এতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশ নেবেন। শুক্রবার (০৪ মার্চ) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, এটি চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি সভা। আগামী রবিবার কিংবা সোমবার এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে গেল বছরের সব ধরনের হিসাব শেষ করা হবে। এ বছর কারা ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছের নেতৃত্বে থাকবেন সে বিষয়টিও সভায় নির্ধারণ করা হবে। এর পরের সপ্তাহে দ্বিতীয় সভা থেকে ভর্তির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের পর প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা
গেল বছর (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) মহামারীর সময়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আর ঝুঁকি কমাতে দেশে প্রথমবারের মত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় তাদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা।
পরে গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই মেধাতালিকা থেকে নিজেদের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে। ভর্তি শেষে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গেল বছরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করেছে। আর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে। তাদের ভর্তি কার্যক্রমও প্রায় শেষের দিকে।
গুচ্ছ পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় গেল বছর সারা দেশে ২৮টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
প্রথম বছর গুচ্ছভুক্ত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১, মানবিক বিভাগে ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৮ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়, আসন বাড়ছে শতাধিক
তবে বিজ্ঞান বিভাগের ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন এবং মানবিক ও বাণিজ্যের সব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।
গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হল- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।