এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহে ছিল ডিজিটাল ট্র্যাকিং

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক  © ফাইল ছবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এবার ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে, তবে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। রাজধানীর ৫টিসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার প্রতি আসনের জন্য লড়েছেন ৩২ জন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়েছে ৩২ শিক্ষার্থী। আর সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েন ১২ জন পরীক্ষার্থী।

দেশে মোট সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি। সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তি হতে পারবেন।

এছাড়া ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ