দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে বুলগেরিয়ায় সরকার পতন
- টিডিসি ওয়ার্ল্ড
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৯ AM
দুর্নীতিবিরোধী তীব্র বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভের নেতৃত্বাধীন সরকার। বৃহস্পতিবার (১১ই ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে এক টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রোজেন জেলিয়াজকভ। খবর রয়র্টাস।
অর্থনৈতিক নীতি এবং দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণেই সরকারের এই পতন ঘটল।
ক্ষমতায় আসার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে হলো জেলিয়াজকভ সরকারকে। আগামী ১লা জানুয়ারি বুলগেরিয়ার ইউরো জোনে যোগদানের কথা রয়েছে, তার মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দেশটিতে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিল।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জেলিয়াজকভ বলেন, 'আমরা জোটের বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' তিনি স্বীকার করেন, এই আন্দোলন সরকারের অহংবোধের বিরুদ্ধে এবং এটি মূল্যবোধ রক্ষার আন্দোলন। তিনি আরও বলেন, এই বিক্ষোভ রাজনৈতিক বিরোধীদের নয়, বরং এটি বুলগেরিয়ার সমাজের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করেছে।
বিক্ষোভকারীদের একটি বড় অংশই তরুণ এবং শহুরে পেশাজীবী। গত সপ্তাহে সামাজিক নিরাপত্তা ও কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের মুখে সরকার তাদের ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তবুও বিক্ষোভ থামেনি।
বিরোধী দল 'কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ ডেমোক্রেটিক বুলগেরিয়া' এর নেতা আসসেন ভ্যাসিলিভ এই ঘটনাকে ‘বুলগেরিয়ার একটি সাধারণ ইউরোপীয় দেশ হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেব এখন পার্লামেন্টের দলগুলোকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। তবে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে সরকার গঠন ব্যর্থ হলে তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগ দেবেন এবং নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। বিদায়ী জোটের প্রধান দল জিইআরবি-এর নেতা বয়কো বোরিসভ জানিয়েছেন, তারা এখন শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে কাজ করবেন এবং আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন।