রাখালের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ঢাবি শিক্ষক শিমুল হালদার

রাখালের দায়িত্ব নিলেন শিমুল হালদার
রাখালের দায়িত্ব নিলেন শিমুল হালদার  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থেকেও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না দরিদ্র পরিবারের ছেলে রাখাল চন্দ্র রায়ের। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে সুযোগ পায়। বিষয়টি জানতে পেরে রাখালের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাবির ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল হালদার।

গতকাল রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় দরিদ্র শিক্ষার্থী রাখালকে ফোন করে তার পড়াশোনা দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বিয়ের পর থেকেই মাহমুদাকে নির্যাতন করতেন স্বামী আনিসুল

রাখাল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম ভেলাবাড়ী গ্রামের বর্গাচাষী উকিল চন্দ্র রায়ের (৫৫) ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা বসবাস করেন।

স্কুলজীবন থেকে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন রাখাল। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছেন। আদিতমারি হাজিগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সে উভায় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় তিনি ৫৫০তম হয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও যাতায়াতের খরচ বহন তার বৃদ্ধ বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তাই দুশ্চিন্তা আর হতাশায় দিন কাটছিল রাখালের।

আরও পড়ুন: রাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু কাল

তার এই অভাবের বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক শিমুল হালদার রাখালের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।

এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষক শিমুল হালদার বলেন, আমি রাখাল চন্দ্র রায়ের লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। রাখালের ভর্তি হওয়া, থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার খরচ বহন করবো।

আরও পড়ুন: ‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই কলেজছাত্র উদ্ধার

এই আনন্দের সংবাদ শুনার পর রাখাল চন্দ্র রায় জানান, আমি পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হবে না। কিন্তু অধ্যাপক শিমুল হালদার স্যার আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করবো।

রাখালের মা সুমিত্রা রানী রায় জানান, পরিবারে অভাব-অনটনের মধ্যেও ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। এখন ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করবে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে এতো টাকা জোগাড় সম্ভব হচ্ছিল না। ঢাবি শিক্ষক আমার ছেলের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন আর তার পড়ার কষ্ট হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ