রাকসু নির্বাচন পেছাল ১৩ দিন, মহাষষ্ঠীতে ভোট ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:১২ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৩ দিন পিছিয়ে রাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এছাড়া অ্যাকাডেমি ভবনগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারোটার দিকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এই নতুন তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম।
এদিকে নতুন তারিখ ঘোষণা করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে রাজনৈতিক সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তারা বলছেন আগামী ২৮ তারিখ থেকে দুর্গাপুজার মহাষষ্ঠী। তারা বলছেন, অধিকাংশ হিন্দু শিক্ষার্থী ভোটের দিনে ক্যাম্পাস থাকতে পারবেন না। অন্যদিকে তারিখ পেছানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা।
নতুন তারিখ অনুযায়ী, মনোয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন ৩১ আগস্ট, মনোনয়নপত্র দাখিল ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ ১১ সেপ্টেম্বর, প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৬ সেপ্টেম্বর, ভোট গ্রহণ ২৮ সেপ্টেম্বর, ফলাফল ও সেদিনই প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট-পিএইচডিধারীদের বাদ দিয়ে ‘কম যোগ্যতাসম্পন্ন’ আওয়ামী অনুগতদের সুপারিশের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনের আরও কিছু তারিখ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্তি ও সাইবার বুলিং রোধে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পেছানোর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন, ভোটকেন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ও ডোপটেস্ট করতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহাষষ্ঠীতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা একটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন আইন বিভাগের শেষ বর্ষের হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী সোমা পাল। তিনি বলেন, দুর্গাপুজো হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা সবচেয়ে বড় ধর্মীও উৎসব। এদিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করাটা একদম অযৌক্তিক। এই তারিকে নির্বাচন হলে আমরা কোনোভাবেই থাকতে পারব না। একদিন আগে হলেও থাকা সম্ভব হতো। প্রশাসন কি তাহলে চায় না হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করুক? এই তারিখে ভোট হলে কখনই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ মহাষষ্ঠীর একদিন আগেই আমরা বাসায় চলে যাই। আমি চাই আমাদের ভোটাধিকার দিতে সময় পুনর্বিন্যাস করা হোক।