৪৯তম বিসিএস
ইতিহাস বিভাগে প্রথম নীলফামারীর সোহেল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ PM
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে সাময়িকভাবে ৬৬৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, শিক্ষা ক্যাডারের ইতিহাস বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কুখাপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান মো. সোহেল রানা। তিনি কৃষক আবু হোসেন ও গৃহিণী সাহিদা বেগমের চতুর্থ সন্তান।
জানা যায়, সোহেল রানা ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৩.৫৪ পেয়ে স্নাতক এবং ২০২১ সালে একই বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৩.৫৬ পেয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১৬ সালে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
নিজের এ অর্জন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সোহেল রানা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই অর্জন শুধু আমার একার নয়—এটি আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও পরিবারের সবার পরিশ্রমের ফল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার। আমি বিশ্বাস করি, মনোযোগ, পরিশ্রম ও ধৈর্য থাকলে গ্রাম থেকে উঠে এসেও বড় কিছু করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: বিভাগটিতে মোট ক্যাডার ২৫ জন, ২২ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে কাজ করতে চাই, যাতে গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।’
ছেলের সাফল্যে আবেগপ্রবণ বাবা আবু হোসেন বলেন, ‘আমি একজন কৃষক মানুষ। সারা জীবন জমিতে কাজ করে ছেলেদের মানুষ করেছি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না, কিন্তু আমি কখনো সোহেলকে পড়াশোনার পথে বাধা দিইনি। আজ সে দেশের একটি বড় পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে—এটা আমাদের গ্রামের, আমাদের পরিবারের গর্ব। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলের এই সাফল্যে আমি আনন্দে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমার বিশ্বাস, সে একদিন দেশের জন্য কিছু করবে—এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পিএসসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশেষ এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের বিভিন্ন পদে ৬৮৩টি শূন্য পদের বিপরীতে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। কয়েকটি ক্যাডার পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি।