প্রস্তুতি শুরুর আগেই সবাই হেরে যায়, গড়ে ৪ ঘণ্টা পড়লেই বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব

মুহাম্মদ ফাহিম রহমান ধ্রুব
মুহাম্মদ ফাহিম রহমান ধ্রুব  © সংগৃহীত

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পাবনার মুহাম্মদ ফাহিম রহমান ধ্রুব। মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস শেষ করে ইন্টার্ন চলা অবস্থায় শুরু করেন বিসিএস এর প্রস্তুতি। পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের ফলে তার সাফল্যে যুক্ত হলো বিসিএসের পালক। স্বাস্থ্যসেবায় অসহায় মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

জানা গেছে, তিনি পাবনা পৌরসভার শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মো. হাফিজুর রহমান মোছা. নাহিদ খানমের সন্তান। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধ্রুব বড়। বাবা হাফিজুর রহমান পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি অবসরে যান। মা গৃহিণী। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ধ্রুব।

ফাহিম রহমান ধ্রুব যথাক্রমে ২০১৩ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১৫ সালে পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এরপর ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে। ২০২১ সালে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন তিনি। ২০২৩ সালে সেখানে ইন্টার্ন শেষ করেন। ইন্টার্নি চলা অবস্থায় বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ধ্রুব বলেন, ‘আমার বাবা-মা সবসময় আমাকে উৎসাহ-সাহস আর সাপোর্ট দিয়েছেন। তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে আমার শিক্ষক আর ব্যাচমেটদেরও অবদান রয়েছে। সবার দোয়া, ভালবাসা আর সহযোগিতায় আজ আমি বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।’

বিসিএস প্রত্যাশীদের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করে বিসিএস অনেক কঠিন বিষয়। তখন সে শুরুতেই হেরে যায়। কিন্তু সেটা মনের মধ্যে আনা যাবে না। নিজের আত্মবিশ্বাস শক্ত রাখতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত গড়ে ৪ ঘণ্টা করে পড়াশোনায় সময় দিতে হবে। এছাড়া নিজের সাবজেক্টের বাইরে জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়গুলো আয়ত্তে রাখতে হবে। তবেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’


সর্বশেষ সংবাদ