বুদ্ধিজীবীরা জীবিত থাকলে এ দেশের যাত্রা ভিন্ন হতে পারত: জাককানইবি উপাচার্য
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ PM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ৫৪ বছর আগে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে এ দেশের সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন জায়গায় যার যার ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের এ দেশের দোসর এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সেই ক্ষত এখনো পূরণ হয়নি। সেসব বুদ্ধিজীবী জীবিত থাকলে এ দেশের যাত্রা ভিন্ন হতে পারত, তাঁরা বেঁচে থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আমরা শহীদদের আত্মত্যাগকে সার্থক করে তুলতে পারব।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত চারবার তালিকা প্রকাশ করেও সঠিক সংখ্যা বের করা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা ৫৬০ জন। যারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চির উন্নত মম শির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য, শিক্ষক সমিতি এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট।