জকসু নির্বাচন

শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আইন ও মানবাধিকার পদে লড়বেন সানি

মো. মাসুদ আহম্মদ সানি ও তার সহপাঠীরা।
মো. মাসুদ আহম্মদ সানি ও তার সহপাঠীরা।  © টিডিসি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাসুদ আহম্মদ সানি। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) শহীদ সাজিদ ভবনে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তিনি এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

মনোনয়ন গ্রহণের পর সানি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র থেকে আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে নির্বাচন করছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু আমাদের শিক্ষার ঠিকানা নয়, এটি আমাদের অধিকার, স্বপ্ন, সম্ভাবনার ক্ষেত্র। কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখি সমস্যার কথা বলার জায়গা নেই, অনেক সময় আমরা সমস্যার সমাধান পাই না, কখনো ন্যায়বিচার পেতে দেরি হয়, কখনো বিষয়টি গুরুত্বই পায় না। আমি চাই, এই বাস্তবতা বদলাতে। শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আমি আইন ও মানবাধিকার পদে লড়তে চাই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ থেকেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা ও বঞ্চনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। সাংবাদিকতা আমাকে শিখিয়েছে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরাই মানবাধিকার রক্ষার প্রথম শপথ। আর আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি উপলব্ধি করেছি, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার ‘আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক’ পদটি আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় প্রার্থীরা যতই ভালো কিছু করতে চান, দলীয় বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক উদ্যোগই বাস্তবায়ন করতে পারেন না। কারণ তারা কোনো না কোনো দলের নির্দেশনা বা স্বার্থের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না। কিন্তু আমি ভিন্ন। আমি কোনো দলের ব্যানারে নয়, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে আপনাদের ভোটে নির্বাচন করছি। তাই আপনাদের কাছে আমার অঙ্গীকার স্পষ্ট, আমি কারও দলের স্বার্থ নয়, কেবলমাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।

আপনাদের অধিকার, আপনাদের সমস্যা ও আপনাদের প্রত্যাশাই হবে আমার একমাত্র দিকনির্দেশনা। আমি যেহেতু কোন দল থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করতেছি না আপনার প্রতি আপনারা পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন আমি কোন দলের উদ্দেশ্য সার্ভ করব না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৯-২০ সেশনের জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা বিনা অপরাধে ১৫ মাস কারাভোগ করেছেন। এই অন্যায় আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমি চাই না, এই ক্যাম্পাসে আর কোনো বোন বা ভাই বিনা অপরাধে দিন কাটাক অন্ধকার কারাগারে।

আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমার প্রথম প্রতিশ্রুতি হবে ন্যায়বিচার, অধিকার ও নিরাপত্তার প্রশ্নে জিরো টলারেন্স। প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার রক্ষায় আমি থাকব আপনাদের পাশে, আপনাদের কণ্ঠস্বর হয়। 

এরআগে, গত ৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার হয়।  ১৩- ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে । ১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিল, ১৯ ও ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে। এছাড়া ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে ও ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।এরপর ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন আর ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের দিনেই ভোট গণনা ও ২২ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ