কোটা আন্দোলনে বাধা: প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে প্রক্টর অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষক বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেছেন তারা। এ নিয়ে অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুারালের সামনে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পদযাত্রা শুরু হয়। এ পদযাত্রা জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেবদারু সড়ক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন পার হলেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন।

এ কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেজ, সাধারণ শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ও ব্যক্তিগত প্রোফাইলে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে পোস্ট ও বিভিন্ন মন্তব্য করছেন তারা। 

রাকিবুল হাসান সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বাধা দেওয়ার পরে নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিতে কি লজ্জা লাগে না আপনাদের?’

মো. রিপন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে। সিআর কাল তোমার ব্যাচের সবাইকে নিয়ে মানববন্ধনে আসিও। চেয়ার পাইলে শিক্ষার্থী কারা? শিক্ষার্থীদের দীর্ঘশ্বাস কত বাজে ভাবে লাগে, খুব কাছ থেকে দেখছি অনেক সো কলড পিতৃতুল্য শিক্ষকের জীবনে। ধিক্কার।’

শামীমা সরকার লিখেছেন, ‘ওনারা ঠিকই শিক্ষক আন্দোলন করে নিজেদের সুবিধার জন্য, ছাত্র-ছাত্রী করলেই দোষ! নিজেরা ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলন করে নিজেদের স্বার্থের জন্য। কিন্তু হাজার হাজার শিক্ষার্থী একটা কোটার মতো অনিয়ম নিয়ে আন্দোলন করলে দোষ?’

আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে লিখেছেন, ‘৬৯ এ শামসুজ্জোহা স্যারকে দেখিনি, কিন্তু ২৪ এ তার বিপরীত চরিত্রের বেরোবির প্রক্টর মহোদয়কে দেখলাম! লজ্জা লজ্জা লজ্জা!’

পদত্যাগের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিয়েছি। তখন পুলিশ মারমুখি ছিল। আমার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা। তাই আমি আমার কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের বাইরে যেতে দিইনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence