আইআইইউসি ছাত্রের তোলা ছবিটি নেট দুনিয়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছে

  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) সিএসই বিভাগের উমার মুসান্না নামের এক শিক্ষার্থীদের তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সাড়া পেলেছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তার গলা জড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি শিশু।

আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ছবিটি তোলেন তিনি। 'Sweetest thing you will see today' শিরোনাম দিয়ে নিজের ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ ছবিটি শেয়ার করেছেন, পছন্দ করেছেন। অসংখ্য ইতিবাচক মন্তব্য জড়ো হয়েছে ছবিটির নিচে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ থেকেও ছবিটি শেয়ার করা হচ্ছে।

শুধুমাত্র মুসান্নার প্রোফাইল থেকে শেয়ার ছবিটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ৭০ জন মন্তব্য করেছেন এবং প্রায় ৮ হাজার মানুষ ছবিটি শেয়ার করেছেন। মন্তব্যের ঘরে সবাই ছবিটি সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং তার এ কাজকে উৎসাহিত করেছেন।

সত্যিকারের ভালোবাসা নামে একটি পেজ ছবিটি শেয়ার করে লিখেছে, একইসাথে মন ভালো এবং খাপরা করে দেওয়ার মতো একটি দৃশ্য। ছবিটি যিনি তুলেছেন তাকে অনেক ধন্যবাদ।

বনি আমিন নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, কি করুণ! তার কষ্টে দুঃখ পাওয়া সত্বেও আমরা সৌন্দর্য খুজছি। এদিকে সুন্দর ছেলেটা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার ছেলেকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেব না।

ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে উমার মুসান্না জানান, সকাল ১০টার পর চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ থেকে বড়পুল যাওয়ার পথে টেম্পু থেকে এই দৃশ্যটা দেখি। বাচ্চাটা খুব সুন্দর করে হাসছিলো, মন ভালো করার মতো। তাই ছবিটা তুলে ফেলি।

তিনি জানান, ছোট্ট শিশুটি ওই ব্যক্তির সন্তান কী না তিনি জানেন না। তার কাছে ছোট্ট শিশুটিকে ওই ব্যক্তির সন্তানই মনে হয়েছে। ছবিটিতে আমার কাছে মনে হয়েছে একটা বাবা তার নিজের রিকশায় করে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন এর চেয়ে মিষ্টি, সুন্দর কোনো দৃশ্য হতে পারে না।

উমার মুসান্না বলেন, একটা সম্পদওয়ালা মানুষ তার বাচ্চাকে নিয়ে ড্রাইভে বের হয়, এই বাবাও সেরকমই বের হয়েছেন, তার সাধ্যের মধ্যে। আর ছেলেটাও দারুণ উপভোগ করছিল, বারবার হাসতে হাসতে বাবার কাঁধে মাথা রাখছিল। বাবা হয়তো অন্যদিকে মুখ করে কান্না লুকানোর চেষ্টা করছেন। একটা ঐশ্বরিক মুহূর্ত তৈরিতে মানুষের যে বিত্তের প্রয়োজন হয় না সেটাই মাথায় এসেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ