শাহবাগে রাতভর অবস্থানের ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬ PM
শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতভর শাহবাগে অবস্থান করছেন তারা।
রাত ৯টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। পোস্টে বলা হয়, ‘ইনকিলাব মঞ্চ রাতভর শাহবাগে অবস্থান করবে। আপনিও চলে আসুন।’
এর আগে দুপুরে জুমার নামাজের পর মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় ‘রূপসা থেকে তেঁতুলিয়া আজাদি, আজাদি’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, আজকের মতো আগামীকাল শনিবারও ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে শাহবাগ অবরোধ থাকবে এবং সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগে জড়ো হবে। হাদি হত্যার বিচার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়ব না। হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা বিচার আদায় করব। শহীদ হাদি কি এই বাংলার মাটিতে বিচার পাবে না? হত্যাকারী যে-ই হোক, যে দেশেরই হোক, যত বড় শক্তির পেছনেই থাকুক তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই দাবি আমরা আগেও জানিয়েছি, আজও জানাচ্ছি। আমরা রাজপথে আছি। বিচার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।
শরিফ ওসমান হাদি দুই সপ্তাহ আগে গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর পল্টনে রিকশায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছোট একটি অস্ত্রোপচারের পর তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর এক সপ্তাহ আগে ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার লাশবাহী বিমান ঢাকায় অবতরণ করে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তত ১০ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে তাকে কবরস্থ করা হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারাদেশে শোক নেমে আসে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই সপ্তাহ এবং নিহতের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সরকার।