সংস্কার ও বিচার না করে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন রাশেদ খাঁনের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২২ AM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১২:০২ AM
সংস্কার ও বিচার না করে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করে দল গঠন করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, ‘চেয়ারে থাকলে যা করা যায়, আজকে চিল্লাচিল্লি করেও যে তা করা যাবে না, সেটা কি অনুমেয় ছিল না? সরকার সেদিনই দুর্বল হয়ে পড়েছে, যেদিন থেকে পদত্যাগ শুরু হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি।
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন লিখেছেন, ‘এতোদিন প্রধান উপদেষ্টা খুব ভাল ছিল। কিন্তু তিনি এখন হয়ে গেছেন গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিরোধী শক্তি! অথচ কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন তাদের কাছে খুব প্রিয়। তাদের যন্ত্রণায় সরকারের গঠনমুলক সমালোচনা পর্যন্ত করা যেত না। অথচ সেই তারা প্রধান উপদেষ্টাকে নগ্ন ভাষায় সমালোচনা করছে! মানে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন হয়ে গেলে তো তাদের বিচারপতি নিয়োগ, ডিসি নিয়োগ, ভিসি নিয়োগের খবরদারি থাকবে না। তাই যেকোনোভাবে সংস্কার ও বিচারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন আটকাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে, সামনে আরও পদত্যাগ করে নির্বাচন বা রাজনীতিতে কয়েকজন উপদেষ্টা নাম লেখাবে। তখন তো এই সরকার আরও দুর্বল হবে। আচ্ছা নতুন সংবিধান চান, তবে মুজিবাদী সংবিধান মেনে যে শপথ নিলেন, তখন মনে ছিল না? সংবিধানকে স্বীকৃতি দিয়ে, হাসিনার রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ নিয়ে আবার তাহাকে অবৈধ বলা যায়? নিত্য-নতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা কিন্তু হাসিনার হবে।’
আরও পড়ুন: টকশোতে প্রশ্নকর্তা শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেতার ‘শিবির ট্যাগ’, প্রতিবাদ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন হাসিব
‘তখন কিন্তু আমি আপনি আমরা কেউ বাঁচতে পারব না’ মন্তব্য করে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘একগুঁয়ে মনোভাব না দেখিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের পথপ্রক্রিয়া আবিষ্কার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সবার নেওয়া উচিত। আপনি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তো হাসিনা ফিরে আসার পর আরেকটি ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান? নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপকে সাধুবাদ জানাতে পারছেন না কেন? এই নির্দেশনা তো ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, তা কি জানেন না?’