বোনের পথ ধরেই ডাকসুতে চমক দেখাতে চান সানজানা আফিফা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৬ PM
২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আপন বড় বোন ফাতিমা তাহসিন এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে বিজয়ী হয়েছিলেন শামসুন নাহার হল সংসদে। বড় বোনের ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনে ছোট বোন সানজানা আফিফা অদিতি সরারসি ডাকসুর এজিএস প্রার্থী। অগ্রজের পরম্পরা হাত ধরে রাখতেই বিশেষভাবে এই পদ বেছে নেয় সানজানা আফিফা অদিতি। দেখাতে চান চমক। এমনটাই জানলেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের এই ছাত্রী।
জানা যায়, এবারের ডাকসুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এজিএস পদে লড়ছেন সানজানা আফিফা অদিতি। তার আপন বড় বোন ছিলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমা তাহসিন। তিনি সর্বশেষ ২০১৯ ডাকসু নির্বাচনে শামসুন নাহার হল সংসদে এজিএস পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ফাতিমা তাহসিন ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন। তার ছোট বোন সানজানা আফিফা অদিতিও ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক।
ডাকসুতে স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী সানজানা আফিফা অদিতি বলেন, আমার জীবনে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা কিংবা রাজনীতিতে আসার পেছনে আমার সেজো বোনের এক বিশেষ অবদান আছে। আপু ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করার পর ২০১৯ সালের ডাকসুতে হল সংসদে এজিএস পদে স্বতন্ত্র থেকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। আপুর সকল বিদ্রোহী পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই আমাকে প্রভাবিত করেছে এবং আমার নেতৃত্বের গুণাবলি দ্রুত বিকশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অগ্রজের পরম্পরা ধরে রাখতেই বিশেষভাবে আমি কেন্দ্রীয় সংসদে এজিএস পদ বেছে নেই এবং একইভাবে স্বতন্ত্র থেকে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেই। এখন থেকে এজিএস পদের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক থাকবে। আমি বিজয়ী হয়ে বিজয়ের পরম্পরাও রক্ষা করতে পারবো বলে আশা রাখি৷
স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিন অবধি সংগঠন কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ কোনো প্যানেল সংগঠনের সদস্যদের দেয়া হয়নি। শেষ দিন অবধি ভিপি, জিএস বাদে কোনো পদের বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। প্যানেলে কারা থাকবে এবং প্যানেলে যারা থাকতে পারবে না তারা কে কোথা থেকে ইলেকশন করবে এমন কোনো রূপরেখা মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিন অবধি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে না জানিয়েই একটি সম্পাদক পদের সিদ্ধান্ত ফেসবুকে ঘোষণা করা হয়। এমন অবস্থায় সংগঠনের বাইরের কিছু মানুষ সংগঠনের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে এই আশঙ্কায় আমরা বেশ কয়েকজন বের হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করি।
স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সংগঠনের সবার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আছে যে তারা প্যানেলের বাইরের কারোর প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। তাই অনেক কাছের মানুষও আমাদের জন্য এক লাইনও লিখেছেন না৷ এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতা-নেত্রীদের উপরও হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে এনসিপির কেউ প্যানেলের বাইরের কাউকে নিয়ে এক লাইনও লিখেনি। এ পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, সানজানা আফিফা অদিতি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব। তবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচন করছেন। সানজানা আফিফা অদিতিসহ এই একই পদে লড়ছেন এই সংগঠনের ৪ প্রার্থী।