ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে: নুরুল হক
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৩ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৪ PM
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ১১ মাস পরও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন যদি হতো তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ট্রেন্ড চালো হতো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আওয়াজ দেখা যায়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজ অডিটরিয়ামে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা কলেজ শাখার কর্তৃক আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ জুলাই থেকে আজ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি,তেমনভাবে এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে আমাদের সেই আওয়াজটা জারি রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ও স্বৈরাতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের পছন্দ ও আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ এবং একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম। যে আন্দোলনে পথশিশু থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছিল।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের প্রত্যাহিক যে চাওয়া পাওয়া আছে, সেগুলো সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ইউএনও, এসপি ও ডিসি জনগণের সেবক। তারা জনগণের মালিক না। জনগণের ভ্যাটের পয়সায় তাদের বেতন ও গাড়ির তেল হয়। তারা সেবা করার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানে বসে আছে। যদি এই চাওয়া পাওয়াগুলো নিশ্চিত করা যেত, তাহলে মানুষ বলত নোবেল বিজয়ী ইউনূস সরকার এই যুগান্তকারী পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এসব পরিবর্তন হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি। তেমনি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে আমাদের সেই আওয়াজটা জারি রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৮ দফা দাবিতে জামালপুর টেক্সটাইল কলেজে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি
গণ অধিকার পরিষদ গঠনের ইতিহাস তুলে ধরে নুরুল হক বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র অধিকার, গণ অধিকার এবং যুব অধিকার পরিষদের উত্থান হয়। এই কোটায় যদি আবার ফিরে আনা হয়, তাহলে আমাদের রাজনীতি থাকে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দকে বলেছিলাম, তোমাদের মধ্যে যাদের সবাই চেনে এ রকম কেউ যেন সামনের সারিতে না যায়। কারণ তারা বলবে, এ আন্দোলন গণ অধিকার পরিষদের। এটা সরকার পতনের আন্দোলন। তাই যারা অপরিচিত তাদের সামনে রাখবা। ছাত্র অধিকার পরিষদের পথচলায় গণঅভ্যুত্থান তৈরির পটভূমিতে বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। গণঅভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বেড়ে ওঠা। জুলাইয়ের আগে আমরা তাকে ছাত্রদের কাছে স্যারেন্ডার করতে বাধ্য করেছিলাম। ২০১৮ সালে তাকে সংসদে কোটা থাকবে না, এ কথা বলতে বাধ্য করেছিলাম। যদিও পরবর্তী সময়ে সে কথা রাখেনি।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ছাড়াও অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে আহত ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান।