দেওয়ানবাগী পীর সৈয়দ মাহবুবের উত্থান যেভাবে

সৈয়দ মাহবুবে খোদা
সৈয়দ মাহবুবে খোদা  © ফাইল ফটো

ঢাকার আরামবাগ এলাকায় ‘দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুবে খোদা মারা গেছেন। যিনি ‘দেওয়ানবাগী পীর হিসাবে’ পরিচিত ছিলেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়ে বলে দেওয়ানবাগ শরীফের ফেসবুক পাতায় নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তার পুরো নাম মাহবুবে খোদা। তবে ভক্তদের কাছে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার বড় একটি ভক্ত শ্রেণী রয়েছে। তার বেশ কিছু বক্তব্য বিভিন্ন সময় বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে।

ইসলামপন্থীদের কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন যে, দেওয়ানবাগীর পীর হিসাবে পরিচিত সৈয়দ মাহবুব ও তার পরিবারের সদস্যরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পান বলে দাবি করেন। এছাড়াও ইসলামের বিভিন্ন বিষয়, ইসলামের নবীকে নিয়েও তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তবে তার একজন মুরীদ আবদুল মান্নান বলছেন, আত্মশুদ্ধির জন্য আমরা তার কাছে এসেছি। তার ভক্ত হয়েছি। তার কাছ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা পেয়েছি, তাই তার মুরীদ হয়েছি। তিনি অনেক বই লিখেছেন, সংস্কার করেছেন।

দেওয়ানবাগী পীরের বিষয়ে বিতর্ক ও তাকে নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্নান বলেন, ধর্মীয় নেতাদের অনেকেই তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা মনে করি তার অবস্থান সঠিক, এবং সেজন্য সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় তার অনেক ভক্ত তৈরি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলছেন, উল্টা পাল্টা ফতোয়া দিয়ে তার উত্থান হয়েছে। ইসলামকে কাটছাট করেছেন তিনি। তিনি বেহেস্ত দিয়ে দেবেন, আল্লাহকে দেখেছেন, এসব বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। আসলে মানুষ তো অন্ধ ভক্ত। বাঙালিরা অনেকে বেশি হুজুগে নামছে। এই জন্য তার ভক্ত হয়েছে।

কয়েকবার তার ভক্তদের সঙ্গে অন্যদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবে তাদের দরবার শরীফের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি।

ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতানা আহমেদ চন্দ্রপুরীর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন।

এর কিছুদিন পরে নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামের একটি স্থানে আস্তানা তৈরি করেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তার নামের সঙ্গে দেওয়ানবাগী শব্দটি যুক্ত হয়। পরবর্তীতে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম শুরু করেন। [সূত্র: বিসিবি বাংলা]


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence