২০৫০ সালের মধ্যে ক্যান্সারে মৃত্যু ১৮ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে, বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
- টিডিসি ওয়ার্ল্ড
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩২ PM
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়ছে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ মিলিয়নেরও বেশি হতে পারে। ২০২৩ সালে BMJ Oncology-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, ৫০ বছরের কম বয়সী মানুষের মধ্যে শুরু হওয়া ক্যান্সারের মাত্রা ৭৯ শতাংশ বেড়েছে, এবং মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ মিলিয়ন নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৯.৭ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে মারা গেছেন। সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে, যেখানে মানুষের আয়ু, শিক্ষা ও জীবনমান বেশি, সেখানে ক্যান্সারের হার বেশি দেখা যায়। তবে কিছু ধরনের ক্যান্সার যেমন সার্ভিকাল ক্যান্সার, সেসব ক্ষেত্রে কম উন্নত দেশগুলোতে রোগের প্রকোপ বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২২ সালে প্রায় ৫৩.৫ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের পরেও পাঁচ বছর জীবিত ছিলেন। WHO’র তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেক পাঁচ জন মানুষের মধ্যে একজন জীবদ্দশায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন এবং প্রতি নয় পুরুষ ও বারো নারীর মধ্যে একজন এই রোগে প্রাণ হারাবেন।
১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫০ বছরের নিচে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ বেড়েছে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, মদ্যপান ও তামাকের ব্যবহার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে নতুন ক্যান্সারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৩ মিলিয়ন এবং মৃত্যুর সংখ্যা হবে প্রায় ১৮.২ মিলিয়ন। IARC-এর ক্যান্সার নজরদারি শাখার প্রধান ড. ফ্রেডি ব্রে বলেন, ‘এই রোগের বৃদ্ধি বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলবে, যেখানে সম্পদের অভাব রয়েছে, সেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।’
একটি WHO জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৯ শতাংশ দেশ তাদের নাগরিকদের মৌলিক ক্যান্সার চিকিৎসা প্রদান করতে পারে এবং মাত্র ২৮ শতাংশ দেশ ব্যথানাশক সহ প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল ইউনিয়নের প্রধান ড. ক্যারি অ্যাডামস বলেন, ‘কোন মানুষ কোথায় বাস করে তা তার বাঁচার অধিকার নির্ধারণ করা উচিত নয়। সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন ক্যান্সার সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’