সন্দেহ, উদ্বেগ নিয়েই বৈঠকে ট্রাম্প-পুতিন

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন  © সংগৃহীত

ব্যাপক সন্দেহ, সংশয় নিয়েই ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈঠক করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির কাছের এক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিবিসি বাংলার

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে বৈশ্বিক শান্তিদূত হিসেবে উপস্থাপন করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে অন্যদের ব্যর্থতার জায়গায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাফল্য পাওয়ার আশা করছেন। তবে বৈঠক সফল না হওয়ার সুযোগ ২৫ শতাংশ বলে বৃহস্পতিবারই তিনি  ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রথম দুই মিনিটে আমি ঠিক বুঝে যাব, চুক্তি হবে কি হবে না।’

যুদ্ধবিরতি অথবা নতুন নিষেধাজ্ঞা যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার জন্য রাশিয়াকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর এই শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করায় তিনি সতর্ক করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে গৃহীত যেকোনো সমাধান অর্থহীন হবে।

বুধবার জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনার পর সবচেয়ে কঠোর অবস্থানে গিয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধ শেষ করতে রাজি না হন, তবে অনেক গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হবে।

এদিকে রাশিয়া প্রায় পুরোটা সময় নীরব থেকেছে। স্থবির যুদ্ধরেখা, অঞ্চল বিনিময় বা মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে কোনো জল্পনা-কল্পনায় জড়ায়নি দেশটি।তারা স্পষ্ট করে বলেছে যে যুদ্ধের অবসান তখনই ঘটবে যখন রাশিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক যা দনবাস অঞ্চলের অংশ এবং খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব অর্জন করবে। একইসাথে কিয়েভকে অসামরিকীকরণ করার এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

এদিকে দুই পক্ষের মাঝে আটকা পড়ে এবং শুক্রবারের আলোচনায় বাইরে থেকে ইউরোপ এখন এক অস্বস্তিকর অবস্থায় আছে। বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফোনালাপে ইউরোপীয় নেতারা আংশিক আশাবাদী হয়েছেন যে আলাস্কায় গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের পক্ষে লড়বেন।

 তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠকে কিয়েভকে অন্তর্ভুক্ত না করায়  প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন-রুশ বৈঠক কেবল দ্বিপাক্ষিকই থাকবে। তিনি জানান, কিছু বিনিময়, ভূমি পরিবর্তনের প্রসঙ্গ সামনে এলে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হব ।"আমরা দনবাস থেকে সরে আসব না। আমরা তা করতে পারি না।


সর্বশেষ সংবাদ