বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের, কার্যকর কবে থেকে?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ AM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৭ AM
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শুল্ক ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছেন তিনি। এর আগে গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তখন ড. ইউনূস ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে সময় চেয়ে অনুরোধ জানান। সে অনুযায়ী তিন মাস সময় দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। ভারতের ক্ষেত্রেও আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিন মাস মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প আবারও সময় বাড়িয়ে ১ আগস্ট পর্যন্ত করেছেন এবং একই দিনে ১৪টি দেশের সরকারপ্রধানের কাছে পৃথক পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, আপনাকে এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য সম্মানের। এটি আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কের প্রতি সম্মান ও অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তবে তা হতে হবে ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ ভিত্তিতে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা মূলত শুল্ক, অশুল্ক বাধা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ঘাটতি শুধরানো জরুরি, কারণ এটি আমাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
নতুন ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে এবং এটি খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে কার্যকর হবে। ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পাঠানো পণ্যও এই শুল্কের আওতায় পড়বে। তবে, ট্রাম্প উল্লেখ করেন, যদি বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন বা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না। বরং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে আমরা সহায়তা করব।
চিঠির শেষ অংশে ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার বাজার উন্মুক্ত করে এবং শুল্ক ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে, তবে আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারি। ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।