ইরান ইস্যুতে ট্রাম্প

আমি শান্তি স্থাপনকারী, তবে শান্তির জন্য মাঝে মাঝে কঠোর অবস্থান নিতে হয়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  © সংগৃহীত

নিজেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী দাবি করে আবারও আলোচনায় এলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই শান্তি স্থাপনকারী, তবে শান্তি রক্ষায় কখনো কখনো কঠোর হতে হয়।’ 

শুক্রবার (২০ জুন) স্থানীয় সময়ে নিউ জার্সির একটি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।

বিমানবন্দরে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আপনাকে অনেকেই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে মনে রাখবে। কিন্তু ইরানে যদি যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়, তাহলে কি আপনার এই খেতাব বদলে যাবে না? 

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবসময়ই একজন শান্তি স্থাপনকারী। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, শান্তি আনার জন্য মাঝে মাঝে কঠোর হতে পারি না।’

আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ইসরায়েল সেনা প্রধান

সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল আটদিন ধরে ইরানের অভ্যন্তরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানকে তিনি আরও দুই সপ্তাহ সময় দেবেন। তার ভাষায়, ‘এই সময়ের মধ্যে যদি তারা কূটনৈতিক পথে এগোয়, তাহলে ভালো। কিন্তু যদি তারা সাড়া না দেয়, তাহলে আমি হামলার নির্দেশ দিতে পারি।’

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান সরকার। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের’ জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছে দেশটি।

পাকিস্তান সরকার এ ব্যাপারে তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে শুক্রবার (২১ জুন) লিখেছে, ‘পাকিস্তান সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কারণে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছে।’

সূত্র: ব্রিটবার্ট

সর্বশেষ সংবাদ