খামেনির পরিণতি গাদ্দাফির মতো হতে পারে জানিয়ে হুঁশিয়ারি

  © সংগৃহীত

লিবিয়ার প্রয়াত ডি ফ্যাক্টো নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মতোই পরিণতি হতে পারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির। এই শঙ্কা ঘিরে ধরেছে ইরানের অ্যাক্টিভিস্টদের। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ায় ফুঁসছেন তারা।

অ্যাক্টিভিস্টদের ভয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্র্যাপে পড়েছেন খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁদে পা দিয়েই ক্ষমতা আর প্রাণ দুটোই হারাতে হয়েছিল গাদ্দাফিকে। তাই খামেনির কপালেও ঘটতে পারে এমন কিছু।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল দেশটির কট্টরপন্থিদের বরাতে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইরানের চৌকস সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার অভাব এখনো পূরণ করতে পারেনি ইরান। এখন ট্রাম্পের চাপাচাপি আর হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেছেন খামেনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় রাজি হয়েছেন।

তবে এ নিয়ে দেশের ভেতরেই চাপে পড়েছেন খামেনি। সোলাইমানি ও ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যাকারীদের সঙ্গে আলোচনা দেখতে চায় না ইরানি কট্টরপন্থি অ্যাক্টিভিস্টরা।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনেই বিপদে পড়েছিলেন গাদ্দাফি। প্রথমে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ত্যাগ করেছিল তারপরই সব হারাতে হয়েছিল তাকে। ২০০৩ সালে গাদ্দাফি নিজের অবস্থান থেকে সরে আসার পরই ২০১১ সালে তার সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর তাকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকারও হতে হয়। এখন সমৃদ্ধশালী লিবিয়ায় বছরের পর বছর চলছে গৃহযুদ্ধ।

ওমানের রাজধানী মাসকাটে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসবেন। ওই আলোচনার কিছু দিন আগে থেকেই একটি বিষয়ে ঢেউ তোলার চেষ্টা করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর টম কটন।

তারা চাইছেন, লিবিয়ার মতোই গণবিধ্বংসী অস্ত্র প্রত্যাহার করুক তেহরান। এখন সেই কথাই খামেনিকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তার কট্টরপন্থি সমর্থকরা। কেননা খামেনির সম্মতি ছাড়া এই আলোচনা হওয়ার কথা নয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্প ইরানকে হুমকি আর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। শুরুতে নানা টালবাহানা করলেও ইরান এখন সুর নরম করেছে। তেহরান জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে সরাসরি নয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা চালাবে তারা। যদিও কেন ওয়াশিংটনের পরোক্ষ আলোচনায় বসছে তেহরান, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি ইরানের কর্মকর্তারা। কিন্তু বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বাস থেকেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence