৮২ কোটি মানুষ পেটে ক্ষুধা নিয়ে রাতে ঘুমাতে যান

বিশ্বে ক্ষুধার্থ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে
বিশ্বে ক্ষুধার্থ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে  © এফএও

বিশ্ব ক্ষুধা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি রাতে ৮২ কোটি ৮ লাখ মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যান। বিশ্বের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ খাবারও পান না।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুধার্তের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে চলতি বছর চার কোটি ৬০ লাখ বেড়েছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। ৮০ শতাংশেরই বসবাস জলবায়ু পরিবর্তনপ্রবণ এলাকায়। বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক ধাক্কা ও করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়েছে ১৫ কোটি।

গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে চতুর্থবারের মতো চরম ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। চরম খাদ্য সংকটে রয়েছেন ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়িয়েছে। বিশ্বের মোট খাদ্যশস্যের বড় অংশ আসে দেশ দুটি থেকে। যুদ্ধের কারণে খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় প্রায় সব দেশে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

খাবারের মূল্য বৃদ্ধিও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ানোয় ভূমিকা রেখেছে। ফুড প্রাইস ইনডেক্স বা বিশ্ব মূল্য সূচক ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সংস্থাটি চিনি, মাংস, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন খাবারের মূল্যবৃদ্ধির হিসাব রাখে বলে জানানো হয়েছে।

এফএও’র তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি অপুষ্ট মানুষের বসবাস এশিয়ায়। ২০২১ সালে মহাদেশে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। আর  আফ্রিকায় ছিল ২৭ কোটি ৮০ লাখ।


সর্বশেষ সংবাদ