বক্সিংয়ে নতুন ইতিহাসের হাতছানি, ফাইনালে জিনাত-আফরা দ্বৈরথ

আসিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন জিনাত
আসিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন জিনাত   © সংগৃহীত

জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় এবার ভিন্ন আবহ। আমেরিকান প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের অংশগ্রহণে এবার মুহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামের দিকে নজর গণমাধ্যমের। দীর্ঘদিন পর জাতীয় বক্সিং আলোচনায়।

সোমবার (২৯ জুলাই) ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীতে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আসিয়া খাতুনকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন জিনাত। এই বিভাগে মোট ৬ বক্সার অংশ নেন। প্রথম রাউন্ডে বাই পাওয়া জিনাত সরাসরি সেমিফাইনালে উঠে আসেন এবং সেখানে জয়ের মধ্য দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন।

ম্যাচ শেষে অনুভূতি জানিয়ে জিনাতের ভাষ্য, ‘ভালো লাগছে, এই প্রথম বাংলাদেশে খেললাম। সবাই অনেক উৎসাহ দিয়েছে। মেয়েটা (আসিয়া) ভালোই ফাইট করার চেষ্টা করেছে। মাইন্ড সেট স্ট্রং, গিভ-আপ (ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া) করেনি। টেকনিক্যালি একটু পিছিয়ে, তবে সাহস আছে।’

এ সময়ে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন নিউইয়র্ক প্রবাসী এই বক্সার। তার দাবি, ‘সমস্যা হয়নি। ভালোই লেগেছে।’

এদিকে আরেক সেমিফাইনালে তূর্য বক্সিং ক্লাবের অন্তরা আক্তার বৃষ্টিকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ আনসারের আফরা খন্দকার।

বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী আফরা শুধু বক্সারই নন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকারের বড় বোন তিনি। কয়েক বছর ধরে বক্সিং খেলছেন, তবে আফিদা আলোচনায় আসার পর তিনিও  বেশি নজরে এসেছেন। বুধবার (৩০ জুলাই) জিনাতের বিরুদ্ধে লড়বেন আফরা। 

এই লড়াইয়ের আগে আফরার মন্তব্য,‘জিনাত অনেক ভালো মানের বক্সার। আশা করি, একটি উপভোগ্য ফাইনাল হবে।’

আমেরিকার নিউইয়র্কে থাকেন জিনাত। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেললেও ঢাকায় অংশগ্রহণ এই প্রথম। ফলে, বাংলাদেশের বক্সারদের সম্পর্কে ধারণা কম তার। অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না জিনাত। 

তার কথায়, ‘আসলে আমি প্রতিপক্ষ নিয়ে সেভাবে চিন্তা করি না। যে-ই হোক, নিজের খেলাটা খেলে জিততে চাই। বাংলাদেশে প্রথমবার খেলতে এসেছি, চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্মরণীয় করতে চাই।’

উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে মহাদেশীয় পর্যায়ে একমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য বক্সিং থেকেই। তবে নানান সীমাবদ্ধতায় এখনও প্রত্যাশিতভাবে বিকশিত হয়নি বক্সিং। জিনাতের আগমনকে ঘিরে তরুণ বক্সাররাও তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। আজ স্টেডিয়ামে অনেকে তার সঙ্গে ছবি তোলেন, পরামর্শও নেন। তাদের আশা, এই নতুন অধ্যায় দেশের বক্সিংকে আরও এগিয়ে নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ