৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পাওয়া ৫ হাজার প্রার্থীর কপাল খুলছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ভিন্ন হওয়ায় ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধনধারী। অবশেষে তাদের কপাল খুলছে। তিন অধিদপ্তরের ৪০টি পদে নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা একই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে সামঞ্জস্যতা একই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান, তিন অধিদপ্তরের পরিচালকসহ একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সভায় অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের ব্যাপার। আমরা সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।'
জানা গেছে, ৪০টি বিষয়ে তিনটি অধিদপ্তরের ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকায় সুপারিশে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিলো। অনেক প্রার্থী সুপারিশ বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধিত প্রার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিন অধিদপ্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এক হোক।
আরও পড়ুন: শহরের চেয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে আগ্রহ বেশি
তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ পরীক্ষা পদ্ধতি, বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এর খসড়া প্রস্তুত করে বোর্ড সভায় চূড়ান্তত করা হয়। পরে এ নিয়ে আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি সভা অনুষ্ঠিত হলো।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সভায় উপস্থিত একজন উপসচিব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনটি অধিদপ্তরের নিয়োগ যোগ্যতা ভিন্ন। এগুলো সমন্বয় করে একই ধরনের করা হবে।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে ৪০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কারিগরি, মাদ্রাসা এবং স্কুল-কলেজে নিয়োগের যোগ্যতা ভিন্ন। যোগ্যতা যেন একই থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’