মাইগ্রেশনের অনুমোদন পাচ্ছেন কেয়ার মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা

কেয়ার মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
কেয়ার মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন   © সংগৃহীত

কেয়ার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। তাই এখন তাদের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিফদতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ।

এর আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালার শর্ত না মানায় রাজধানীর এ মেডিকেল কলেজের সব অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই অনুমোদন বাতিল ও মাইগ্রেশনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়,  গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থগিতকৃত কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মাইগ্রেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাইগ্রেশনের কাজ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকায় ছয় শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও স্থগিত 

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত)-এর শর্তসমূহ প্রতিপালন না করায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে ও কলেজের কার্যক্রম চলমান রাখে। গত ২৬ জুলাই এ রিট পিটিশনটি প্রত্যাহার করা হয়। স্থগিতাদেশের পর গত পাঁচ বছরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজটির মানোন্নয়ন করতে পারেনি এবং একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের নেতৃত্বে গঠিত পরিদর্শন কমিটি কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ সর্বশেষ গত ১৪ জুন পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুসারে—কলেজটিতে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ নেই, শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, বিদ্যমান হাসপাতাল ও কলেজের নামে নিজস্ব জমি নেই, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত নয়, হাসপাতালের বেড অকুপেন্সি ৭০ শতাংশের জায়গায় মাত্র ১০ শতাংশ আছে। সর্বোপরি, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) এবং 'বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০১২' অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

কেয়ার মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আবেদন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের চিঠির প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করায় এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মতামত গ্রহণ করা হয়। ওই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ বিবেচনায় গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেয়ার মেডিক্যাল কলেজে নানা ধরণের ঘাটতি ও সমস্যা থাকায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি বলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং অধ্যক্ষ জানান। তারা কলেজটি পরিচালনায় আর আগ্রহী নন বলেও সভাকে অবহিত করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২' এর ধারা-২৪ অনুসারে বেসরকারি কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence