যে শর্তে বৃত্তি পাবেন আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৪ PM
আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বৃত্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ছালেহ আহমাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের আলিম পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত শর্তে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ‘মেধাবৃত্তি’ ও ‘সাধারণ বৃত্তি’ প্রদান করা হলো। সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী এ বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। বৃত্তি প্রদানের সময় নিম্নবর্ণিত নিয়ম ও নীতিমালা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
শর্তাবলীগুলো হলো-
বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নপত্র প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক বৃত্তির অর্থ উত্তোলন করতে হবে। বৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের সদাচরণ, নিয়মিত উপস্থিতি ও সন্তোষজনক পাঠোন্নতি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদান করতে হবে। এ বৃত্তিগুলোর সংখ্যা, হার ও মেয়াদ আপাতত নির্ধারিত। প্রয়োজনবোধে সরকার কোন কারণ না দেখিয়ে তা পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মঞ্জুরী (অনুমোদন) প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বৃত্তি কার্যকর হবে। মঞ্জুরী (অনুমোদন) প্রাপ্ত নয় এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বৃত্তি কোনক্রমেই কার্যকর হবে না। সরকারি আইন অনুযায়ী অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নয় এবং অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকাল পাঠ বিরতি (ব্রেক অব স্টাডি) হিসেবে গণ্য হবে। সকল মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে।
সরকারি আইন অনুযায়ী অনুমোদিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাসিক বেতন দাবী করবে না। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাসিক বেতন দাবী করলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী (অধ্যয়নরত কোর্সের মেয়াদ অনুযায়ী) বৃত্তির বার্ষিক এককালীন অর্থ উত্তোলন করতে পারবে।
সকল বৃত্তিই কেবল নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধানুসারে এবং নীতিমালার অন্যান্য শর্ত মোতাবেক প্রদান করা হবে। কোন ভাবেই অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাবে না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীগণকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে বৃত্তির তালিকাভূক্ত শিক্ষার্থীগণ পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে বৃত্তি পেয়ে যদি পরবর্তীকালে সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট বৃত্তি ব্যতিরেকে অন্য কোন দেশি বা বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকে তবে সে উভয় বৃত্তি ভোগ করতে পারবে। আলিম পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সরকারি আদেশ মোতাবেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে মেধাবৃত্তি বণ্টিত হয়েছে। বৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা নূন্যতম জিপিএ ৩ (৪র্থ বিষয় ব্যতীত)। বৃত্তির তালিকা ছাত্র/ছাত্রী অনুপাতে মেধা ও সাধারণ বৃত্তি ৫০% ছাত্র এবং ৫০% ছাত্রী হিসাবে বন্টিত হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে বৃত্তি উল্লেখিত অনুপাতে বন্টিত হয়েছে; বিজ্ঞান: সাধারণ = ৩ঃ২। বিভিন্ন বিভাগ হতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে আনুপাতিক হারে বৃত্তির বিভাগ ভিত্তিক কোটা বন্টন করা হয়েছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ বৃত্তি বদলীর ব্যপারে নিম্নবর্ণিত তথ্যাবলী অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাবেন, অন্যথায় প্রয়োজনীয় অনুমতির অভাবে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা তোলা না গেলে সে জন্য উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণই দায়ী থাকবেন।
এ বিজ্ঞপ্তিতে অনিচ্ছাকৃত কোন ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা বোর্ড সংরক্ষণ করে। প্রয়োজনবোধে কোন রকম কারণ না দেখিয়ে বৃত্তি বাতিল করার ক্ষমতাও বোর্ড সংরক্ষণ করে। ১০.
বৃত্তির অর্থ উত্তোলন ও বন্টন
বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বরাদ্দকৃত অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে প্রেরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ তফসীলভুক্ত অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে হিসাব নম্বর ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আবশ্যিক ভাবে জমা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হবে।
কোন কারণে অর্থ বছরের নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলে বৃত্তিটি যদি তামাদি হয় সে ক্ষেত্রে পরবর্তী অর্থ বছর মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বকেয়া পনঃ মঞ্জুরীর আদেশ গ্রহণ সাপেক্ষে তামাদি (বকেয়া) বত্তি প্রদান করা যাবে।
যে সকল শিক্ষার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তি বলে তাদের বৃত্তির টাকা তোলা যাবে না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণকে এরূপ নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের স্বীকারোক্তি এবং পূর্বতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি বাতিলের সত্যায়িত কপিসহ প্রকৃত অধ্যয়নস্থল সম্পর্কে অতিসত্ত্বর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে জানাতে হবে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় অনুমতির অভাবে এরূপ শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা সময়মত প্রেরণ করা না গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণই দায়ী থাকবেন।
বিলম্বে ভর্তি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, বিষয় পরিবর্তন এবং অসুস্থতার কারণে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বছর পাঠ বিরতি গ্রহণযোগ্য। তবে সে ক্ষেত্রে বৃত্তি নিয়মিতকরণ বাধ্যতামূলক। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়মিতকরণ করবে।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা: সালের আলিম পরীক্ষার্থীদের বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ