স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস: সচিবালয়ে ৩ দিনব্যাপী স্ক্রিনিং কর্মসূচি

স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি
স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি  © সংগৃহীত

নারীদের স্তন ক্যান্সারের ভয়াবহতা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে সচিবালয় ক্লিনিকে তিন দিনব্যাপী স্ক্রিনিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এই সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার এই বার্তা সমাজে একটি সচেতনতা তৈরি করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৩ দিনব্যাপী এই ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রোগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদেরকে স্তন স্ব-পরীক্ষা এবং প্রাথমিক সনাক্তকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা ও নির্দেশনা প্রদান করা।

কর্মসূচিতে সরকারি মহিলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যোগ্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার কর্তৃক গোপনীয় স্তন স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ও পরামর্শের সুবিধা। এতে প্রাথমিক স্তন স্ব-পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি সহজে বোঝানোর জন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল কিয়স্ক, যেখানে স্থানীয় ভাষায় অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রদর্শিত হবে। সন্দেহজনক স্তনের চাকা বা ফোলা অংশের ক্ষেত্রে দ্রুত মূল্যায়ন এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি স্ক্যান ও বিশেষজ্ঞের কাছে রেফারেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এছাড়া সচেতনতা বাড়াতে অন-সাইটে মেডিকেল পেশাদার এবং মহিলা নার্স কাউন্সেলরের মাধ্যমে সরাসরি প্রশ্নোত্তর ও ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি স্ব-পরীক্ষা পদ্ধতি ও স্ক্রিনিং কেন্দ্র সম্পর্কিত প্রচারপত্র বিতরণ করা হবে। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সংহতি প্রকাশের জন্য গোলাপি রিবনও বিতরণ করা হবে।

এর মাধ্যমে সচিবালয়ের কর্মীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা সম্পর্কে সরাসরি শিক্ষা প্রদান, পেশাদার পরিবেশে স্ক্রিনিং নিয়ে আলোচনার স্বাভাবিকীকরণ এবং ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য একটি টেকসই সচেতনতা মডেল তৈরি হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই রোগ সম্পর্কে সমাজের ভুল ধারণা দূরীকরণে এবং প্রাথমিক রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।


সর্বশেষ সংবাদ