অতিরিক্ত ঘুমিয়ে শরীরে ডেকে আনছেন যেসব বিপদ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৪ AM
ভালো ঘুম স্বাস্থ্যকর জীবনের অপরিহার্য একটি উপাদান। তবে ঘুম বেশি হলে সেটি আশীর্বাদ নয় বরং হয়ে উঠতে পারে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এমনটাই বলছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। তবে কেউ নিয়মিত ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে সেটি দেহ ও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। জানুন অতিরিক্ত ঘুম শরীরে যেসব ক্ষতি ডেকে আনতে পারে:
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণায় উঠে এসেছে, দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো ব্যক্তিদের রক্তচাপ বাড়ে এবং রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের আশঙ্কা
কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ঘুম ইনসুলিন প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়।
ডিপ্রেশনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা
যুক্তরাষ্ট্রের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এতে বিষণ্নতা, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাসসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন একজন মানুষ।
আরও পড়ুন: রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন, জানুন রাগ কমানোর ৯ কৌশল
ওজন ও কোমর ব্যথা
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন, বেশি ঘুম শরীরের মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়, ফলে ক্যালোরি বার্ন কম হয় এবং ওজন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘসময় শুয়ে থাকলে কোমর বা পেশি ব্যথাও দেখা দিতে পারে।
স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তির ক্ষতি
মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুমের কারণে মস্তিষ্কের নিউরোনগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা দেখা দেয়।
তাহলে কেউ বেশি ঘুমায় কেন
গবেষকরা বলছেন বিষণ্নতা, ঘুমজনিত রোগ (যেমন নার্কোলেপসি), কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ঘুমের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা নিয়মিত অতিরিক্ত ঘুমান, তাঁদের উচিত কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ঘুম যেমন জীবনের জন্য অপরিহার্য, তেমনই এর পরিমাণও গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত ঘুম শুধু আপনার শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তাই যাঁদের ঘুমের সময়সীমা ৯ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়, তাঁদের এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন তবেই সুস্থতা থাকবে হাতের মুঠোয়।