৩২ জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা

করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস  © ফাইল ছবি

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামলে উঠতে না উঠতেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরন। দেশের কয়েকটি জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৩২ জেলায় ভাইরাসটির সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের তালিকায় ঢাকা বিভাগেরই রয়েছে ৯টি জেলা। চট্টগ্রামের ৫টি ও খুলনার ৬টি জেলা। এছাড়া রাজশাহীর ৩টি, রংপুরের ৩টি, বরিশালের ৩টি, সিলেটের ২টি এবং ময়মনসিংহের একটি জেলা রয়েছে। দেশে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সংক্রমণের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত কয়েকদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেখানে শনাক্তের হার বেশি সেখানে যাতায়াত-চলাচল সীমিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রান্তিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কোনো বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, জুনের ৪ তারিখ থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গতকাল আমরা দেখলাম ১২ শতাংশের বেশি। সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য করা হচ্ছে। আমরা জনগণের সহায়তা কামনা করি। কোনো জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।

তিনি বলেন, জয়পুরহাটে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ শতাংশের বেশি, রাজশাহীতে ২৩ শতাংশের বেশি। এই জায়গাগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এসব জায়গায় লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করায় স্থিতি অবস্থা আছে। এটি যদি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বগতি থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।

এদিকে, দেশে গত ২৪ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জনের। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৭ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৬৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।


সর্বশেষ সংবাদ