করোনা চিকিৎসায় ৪ ওষুধ, সঙ্গে গরম পানির ভাপ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ১০:০৭ AM , আপডেট: ০৩ মে ২০২০, ১০:০৭ AM
‘প্রতিদিন জি ম্যাক্স ৫০০ এমজি, নাপা এক্সট্রা ও মন্টিয়ার ওষুধ খাই। সেই সাথে আদা ও লেবু দিয়ে গরম পানি গড়গড়া করছি। চা ও গরম দুধ খাচ্ছি।’ করোনা আক্রান্ত হয়ে এভাবেই ওষুধ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিচ্ছেন খুলনার রূপসা উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মী শাহারুল ইসলাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. রিজভির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তিনি এই ওষুধ খাচ্ছেন বলে জানান।
অবশ্য আক্রান্ত অন্য একজন নৈশপ্রহরী আল মামুন মৃধা জানান, ‘তার ১০০ ডিগ্রি জ্বর, গলায় ব্যথা ও সর্দি আছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী সকালে ও রাতে খালি পেটে এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এমজি ট্যাবলেট, তিন বেলা ৩টি প্যারাসিটামল এবং সকালে ও রাতে ভরা পেটে সিটিরিজিন ট্যাবলেট খাচ্ছি। এছাড়া গ্যাসের সমস্যা থাকায় তিন বেলা ভরা পেটে অ্যান্টাসিড খাচ্ছি।’
এই ২ জনের মতো খুলনায় করোনা আক্রান্ত অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলছে ৩/৪ প্রকার ওষুধ ও গরম পানির ভাপ দিয়ে। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৬৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাজনিন নাহার জানান, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিন বেলা তিনটি প্যারাসিটামল, সকালে ও রাতে হিস্টাসিন এবং সকালে ও রাতে এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এমজি ওষুধ খাচ্ছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটারে আইসোলেশনে রয়েছেন।
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের এখনও কোনো ওষুধ বের হয়নি। তবে করোনা আক্রান্তদের সাধারণত জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সে কারণে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে অবস্থা বুঝে এজিথ্রোমাইসিন বা জি ম্যাক্স ৫০০ এমজি, নাপা বা নাপা এক্সট্রা বা প্যারাসিটামল এবং হিস্টাসিন বা সিটিরিজিন বা মন্টিয়ার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গরম পানি গড়গড়া করা কিংবা নাকে-মুখে গরম পানির ভাপ নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, করোনা আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসক বর্তমানে ঢাকার মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ডা. মাসুদ আহমেদ এখনও অসুস্থ্য, অন্য ২ জনের অবস্থা মোটামুটি ভালো। সিভিল সার্জন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা করা হচ্ছে।