প্রযুক্তি ভাড়া করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না: যবিপ্রবি উপাচার্য

‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া পলিসি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ
‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া পলিসি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, প্রযুক্তি ভাড়া করে কখনোই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় না। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উদ্ভাবনকৃত বিভিন্ন পণ্যের নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্ব বা প্যাটেন্ট। এ ধরণের উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলার ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া পলিসি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। টেকসই উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আমাদের নিজস্ব ‘প্যাটেন্ট ডেভেলপ’ করতে হবে। যদি দেশের উন্নয়ন স্থিতিশীল রাখতে হয়, তাহলে নতুন নতুন উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হতে হবে- কোন পণ্যের উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াজাত করে তা বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিরলস গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিয়োজিত থাকবেন, যবিপ্রবি প্রশাসন সব সময় তাঁদের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে ‘দ্যা সেন্টার ফর সফিস্টিকেটেড ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি (সিএসআরআইএল)’এর উপ-পরিচালক ড. মো. জাভেদ হোসেন খান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া পলিসি’র খসড়া নীতিমালা নিয়ে কথা বলেন। কিভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁদের উদ্ভাবন ও প্যাটেন্ট তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বিভাগ, গবেষণাগার লাভবান হবে সেটা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন গবেষণাগার ও বিভাগ তাদের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, কনসালটেন্সিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে পারেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিএসআরআইএল’র টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিস উইংয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, বিশ্বের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি রিলেশন’র উপর দাঁড়িয়ে আছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকে গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এর মাধ্যমে সহজেই তারা কোন পণ্য উদ্ভাবন করে তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। যবিপ্রবিরও এ ধরণের কার্যক্রমে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যাঁরা এ ধরণের কার্যক্রমে আগ্রহী হবেন, সিএসআরআইএল’র টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সিং সার্ভিস তাদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন- যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. নাসিম রেজা, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত ও ড. মো. মেহেদী হাসানসহ ​সকল বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence