যবিপ্রবির ফিটনেসবিহীন বাস, নষ্ট সিট খুলে শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ

বাসের সিট হাতে সামিউল আলিম সামি
বাসের সিট হাতে সামিউল আলিম সামি  © টিডিসি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবহন পুলে ভাড়ায় চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন বিআরটিসি বাসের বিরুদ্ধে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল আলিম সামি। দুর্ঘটনায় পড়তে যাওয়ায় বাসের নষ্ট সিট খুলে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ ধরনের বাস চলাচলের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায়। জানা যায়, যশোর শহর থেকে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসগামী মার্কেট ট্রিপের একটি বিআরটিসি বাসে বেশ কয়েকটি সিট নষ্ট থাকায় এবং বাসটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় সামিউল বাসের একটি ভাঙা সিট খুলে নিয়ে যান।

সামিউল আলিম সামি বলেন, ‘টিউশন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে নড়বড়ে একটি সিটে বসতে বাধ্য হই। ভাঙাচোরা রাস্তায় চলার সময় সিটটি হঠাৎ উপরে উঠে যায়, অল্পের জন্য মাথায় আঘাত লাগা থেকে বেঁচে যাই। এমন ফিটনেসবিহীন বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একদমই উপযোগী নয়। ভেতরে ধুলোবালি, বাইরে নাজুক অবস্থা—প্রশাসন কি এসব দেখার সময় পায় না? অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই।’

ফেসবুকে অনেক শিক্ষার্থী সামিউলের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন। সাদমান ফেরদৌস নামে একজন লিখেন, ‘এমন বাস দেয় যে মাঝে মাঝে জানালাও খুলে পড়ে যায়।’

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান ইমরান মন্তব্য করেন, ‘একদম ঠিক কাজ করেছে সামিউল। আমরা টাকা দেই, মুড়ির টিনে করে যাতায়াতের জন্য না।’

এ বিষয়ে সহকারী পরিবহন প্রশাসক হাসান মো. নাভিদ আনজুম বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি সামিউল একটি সিট খুলে নিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত অধিকাংশ বিআরটিসি বাস খুব পুরনো হওয়ায় নিয়মিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরিবহন ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ২ অক্টোবর খুলনা ডিপো পরিদর্শন করেও ভালো বাস পাওয়া যায়নি। পরে অন্য ডিপো থেকে বাস চেয়ে চিঠি দিলেও এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। তাই অক্টোবর মাসের বিল স্থগিত রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আগামীকাল পরিবহন দপ্তরের সবাই সরেজমিনে গিয়ে বাসগুলোর সমস্যা শনাক্ত করে বিআরটিসিকে জানানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ