দেশের অন্যতম বৃহৎ পশুর হাটে ঈদের আমেজ, বসছে বাড়তি তিনদিন
- বেনাপোল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ AM , আপডেট: ১১ জুন ২০২৫, ০৩:৪৫ PM
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম বৃহৎ কোরবানির পশুর হাট, যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইলে জমে উঠেছে বেচাকেনা। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বিক্রেতা, পাইকার ও সাধারণ ক্রেতার ভিড়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা ট্রাকভর্তি গরু কিনে নিচ্ছেন এখান থেকে।
এবারের ঈদ উপলক্ষে হাট পরিচালনায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। সাধারণত সপ্তাহে দু’দিন—শনিবার ও মঙ্গলবার বসা সাতমাইল হাট এবার শুধু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি তিনদিন আজ (মঙ্গলবার), বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চলবে। অর্থাৎ ঈদের আগে এক সপ্তাহে পাঁচ দিন বসছে এ হাট। কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের এ উদ্যোগ পশু ব্যবসায় চাঙাভাব সৃষ্টি করেছে। ব্যাপারিদের জন্য খুলে দিয়েছে বাড়তি বিক্রির সুযোগ।
এ বছর ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি এবং ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল জাতের গরু হাটজুড়ে চোখে পড়ছে। খামারি ও ব্যাপারিরা বছরের পর বছর ধরে পালন করা গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন হাটে। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দামেও পার্থক্য রয়েছে। মাঝারি গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হলেও বিক্রি বেশি।
আরও পড়ুন: গরু পার করাতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে গেলেন কৃষক
জানা গেছে, সাতমাইল হাটের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে মনিটরিং টিম, যারা নিয়মিত নজরদারি করছে। পাশাপাশি রয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি টিম, যারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় সনদপত্র।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির জন্য শার্শা উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪ হাজারের বেশি গরু, মহিষ ও ছাগল। দেশি পশুর এ বিশাল জোগান যেমন স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করেছে, তেমনি কোরবানিদাতাদের মাঝে সৃষ্টি করেছে স্বস্তি ও আস্থা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মন্টু বলেন, সাতমাইল বরাবরই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বড় হাট। তবে শুধু এবারের ঈদ উপলক্ষে বাড়তি তিনদিন হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হাটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা পশু ব্যবসার গতি বাড়িয়েছে অনেক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা বলেন, এবছর কোরবানির জন্য শার্শা উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪ হাজারের বেশি গরু, মহিষ ও ছাগল। দেশীয় পশুর এই বিশাল জোগান যেমন স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করেছে, তেমনি কোরবানিদাতাদের মাঝে সৃষ্টি করেছে স্বস্তি ও আস্থা।