অর্থ আত্মসাত: নর্থ সাউথের চার ট্রাস্টির জামিন শুনানি আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ০৮:১১ AM , আপডেট: ২২ মে ২০২২, ০৮:১১ AM
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার অর্থ আত্মসাতের মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন শুনানি হবে আজ রোববার। আবেদনটি আজকের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ জামিনের তারিখ নির্ধারণ করে। গত বুধবার চারজনের আগাম জামিনের শুনানির পর অধিকতর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাইকোর্ট মুলতবি করেছিলেন। ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলেন এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান, বেনজীর আহমেদ ও রেহানা রহমান।
গত বুধবার বোর্ডের সদস্যের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও এ. এফ. হাসান আরিফ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
দুদকে অভিযোগকারী আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার আসামি আজিম উদ্দিন দেশে আছেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অপর চার আসামি সামাজিক অবস্থান, বয়স ও প্রভাব খাটিয়ে জামিন শুনানি দীর্ঘসূত্রিতা করছেন। কয়েকজন শারীরিক অসুস্থতাকে পুঁজি করেও আগাম জামিন পাওয়ার চেষ্টায় আছেন। তারা জামিন পেলে দেশ ত্যাগের শঙ্কা রয়েছে।
আরো পড়ুন: ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গত ৫ মে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। বাকি আসামিরা হলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম. এ. কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিন মো. হিলালী।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমি কেনার মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তন্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। সিন্ডিকেট, ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের অনুমোদনের মাধ্যমে এ অর্থ লোপাট করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।