ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

  © সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, শ্লীলতাহানীর চেষ্টার ব্যর্থ হয়ে অপহরণের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রাজমিস্ত্রী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মেয়েটির পরিবার। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করে ওই শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সে উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত হাসেম সরদারের ছেলে। অপরদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম মোছা. কাছমিনা খাতুন। তিনি পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও মৃর্জাপুর গ্রামের মো. কেরামত আলীর মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জানান, আমাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রি কাজ করার সুবাদে ছয় মাস আগে একই উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত হাসেম সরদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম হোসেনের সাথে আমার পরিচয় হয়। কিছুদিন পর সাদ্দাম হোসেন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন আমি তা তা প্রত্যাখ্যান করি। এ ঘটনার পর থেকে সে স্কুলে যাওয়ার পথে কুপ্রস্তাব দেয় এবং প্রতিনিয়ত পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা সাদ্দামকে ডেকে এসবের কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ আর করবে না বলে সে মাফ চেয়ে নেয়।

গত ২০ জানুয়ারি আমাদের প্রতিবেশী মৃত ইমান আলীর ছেলে একব্বার সরদার ও তার স্ত্রীর যোগসাজসে সাদ্দাম হোসেনকে একব্বারের ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম আমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে ঘরে দরজা দিয়ে বাইরে চলে যায়। এসময় ঘরে লুকিয়ে থাকা সাদ্দাম আমাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার চিৎকারে লম্পট সাদ্দাম পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনা কাউকে জানালে মেয়েটিকে খুন জখম করবে এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়।

এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে সে। এখন তার পরিবারের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। সে যাতে ফের স্কুলে যেতে পারে এবং সাদ্দাম হোসেন ও তার লোকজন যাতে পরিবারের কাউকে হয়রানি করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মেয়েটির পরিবার।


সর্বশেষ সংবাদ